Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

খালেদা জিয়ার রায়ের পরেও মাঠে নেই নীলফামারী বিএনপি

Icon

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে মাঠে নামতে পারেনি নীলফামারী বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার লাগাতারভাবে কোনো না কোনো কর্মসূচি থাকলেও নীলফামারীতে কোনো কর্মসূচি পালিত হয়নি। এ দীর্ঘ সময়েও কোনো দলীয় কর্মকাণ্ডে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। সবাই চলে গেছেন আত্মগোপনে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত বিএনপির কোনো জেলা বা উপজেলা নেতাকে সাক্ষাতে বা ফোনেও পাওয়া যায়নি। অনেকে রয়েছে আত্মগোপনে, কেউ বা রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে আবার অনেকে রয়েছেন দেশের বাইরে বলে সূত্র জানায়। এর ফলে হতাশ তৃণমূল। বিভিন্ন সময়ে এসব নেতা দাবি করে আসছেন, পুলিশি বাধার কারণে কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। রাস্তায় নামলে জেল-জুলুম তাই তারা আত্মগোপনে থেকে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অপরদিকে সাধারণ কর্মীদের দাবি, তারা যেহেতু কোনো কর্মসূচি পালন করছেন না তাই তারা জেলের ভেতরে বা জেলের বাইরে থাকলেই বিএনপির লাভ বা ক্ষতি কি যা তাদের বোধগম্য নয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপের সেসব সুবিধাভোগী নেতা যারা হঠাৎ করে কোটিপতি বনে গিয়েছেন তারা আজ কোথায়। এ প্রশ্ন আজ সাধারণ নেতাকর্মীদের। পদের জন্য নিজ দলে সরব নেতারা আজ দল ও দলের চেয়ারপারসনের দুর্দিনে নীরব। জানা যায়, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ জেলাকে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। এক এগারো সরকারের সময়ে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় একাধিক মামলা। যার রায়ে দণ্ডিত হয়ে তিনি আজ পলাতক। তার হাতে গড়ে ওঠা এ জেলার বিএনপি আজ তারই আত্মীয় পরিচয়দানকারী ও তার পছন্দের বা তারই সমর্থিত নেতাদের হাতেই শৃঙ্খলিত। যারা নিজ দলের চেয়ারপারসনের কারাদণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামার সাহস দেখাতে পারেনি। বিগত সময়ে নানা আন্দোলনের সময় সারা দেশ উত্তাল হলেও এ জেলায় সে সময়ের সে আন্দোলনের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। সে সময়ে আদর্শিক কারণে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের গুটিকয়েক যেসব নেতা আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন তারা নানাভাবে পুলিশ ও নিজ দলের কাছেই হয়রানির শিকার হন। তাদের অনেকই কারাবাস করেন ও একাধিক মামলায় জড়িয়ে যান। সে সময়েও বেশ আরামেই ছিলেন আজকের পদ ও পদবিধারী নেতারা।

এ ব্যাপারে বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের একাধিক নেতাকে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া না যাওয়ায় ও ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম