বিজয়নগরে যুবলীগ নেতার ত্রাসের রাজত্ব
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মোবারক হোসেন নামে এক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা। তার বিরুদ্ধে সীমান্তে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পত্তি অর্জনসহ স্থানীয়ভাবে ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে কথা বললেই নেমে আসে নির্যাতন। ভয়ে কেউ কথা বলতে আগ্রহী না। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। যদিও যুগান্তরের কাছে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন অভিযোগে বিষয়ে কোনো কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জানা যায়, বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে বারঘরিয়া নিজ গ্রামে ৬ তলা বাড়ি নির্মাণ ও অর্ধকোটি টাকার গাড়ি ক্রয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়ভাবে লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় এহসানুল চৌধুরী নয়ন নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের বারঘরিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। তিনি ২০১৮ সালে সাতবর্গ গ্রামে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ শতাংশ ভূমির ওপর একটি ছয় তলা ভবন নির্মাণ করেন। পাশাপাশি তিনি একটি বিলাসবহুল পাজেরো গাড়ি যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো ম-১৭-২৭৪ ব্যবহার করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারতীয় সীমান্ত বিজয়নগরে তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তিনি তার বিলাসবহুল গাড়ির মাধ্যমে সীমান্তবর্তী এলাকা বিজয়নগর ও আখাউড়া থেকে মাদকদ্রব্য ঢাকায় সরবরাহ করে থাকেন। এছাড়া তার নিজ এলাকা সাতবর্গ বাজারে প্রতি রাতে জুয়া খেলার আয়োজন করে থাকেন। এছাড়াও তিনি তার ব্যবহৃত গাড়িতে অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাচল করেন। এর দ্বারা এলাকায় লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। প্রতিবাদ করলে নেমে আসে নির্যাতন আর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি। এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিতু মিয়া বলেন, যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার ব্যাপারে স্থানীয়রা একাধিক অভিযোগ দিয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। কিন্তু তার কোনো কিছুই হচ্ছে না।
অভিযোগে বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোবারক হোসেন যুগান্তরকে বলেন, তিনি মোটরসাইকেলে আছেন। এ বিষয়ে তিনি পরে যুগান্তর প্রতিনিধি সঙ্গে কথা বলবেন। তবে অভিযোগে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে আগ্রহী হননি।
