Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

বদলগাছীতে বিএমডিএর জমিতে সেচে অতিরিক্ত টাকা আদায়

Icon

আব্বাস আলী, নওগাঁ

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নওগাঁর বদলগাছীতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) বরাদ্দকৃত গভীর নলকূপ (ডিপ টিউবওয়েল) অপারেটরদের বিরুদ্ধে সেচ কমিটির নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। তাদের চাহিদামতো টাকা না পেলে জমিতে পানি মিলছে না। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। নির্ধারিত মূল্যে জমিতে পানি সরবরাহ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারির দাবি করছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর এ উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমি। বিএমডিএ’র অধীনে গভীর নলকূপ রয়েছে ২৯০টি। এছাড়া ব্যক্তি মালিকানাধীন নলকূপ (ছোট ডিপ) রয়েছে ১৫০টি। প্রতিটি নলকূপের আশপাশে থাকা জমির কৃষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে অপারেটর নিয়োগ দেয়ার নিয়ম। বিএমডিএ অফিস থেকে ইউনিয়নভিত্তিক নলকূপে প্রতিবিঘা জমির জন্য পানির সেচ মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। উপজেলার বদলগাছী সদর ইউনিয়নে বিঘাপ্রতি পানির সেচমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯০ টাকা, বালুভরা ইউনিয়নে ১ হাজার ৯০ টাকা, আধাইপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৩০ টাকা, মথুরাপুর ইউনিয়নে ১ হাজার টাকা, পাহাড়পুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৬০ টাকা, মিঠাপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৫০ টাকা, কোলা ইউনিয়নে ১ হাজার ৪০ টাকা এবং বিলাশবাড়ী ইউনিয়নে ১ হাজার ১০ টাকা। বিএমডিএ থেকে জমিতে পানি সেচের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হলেও অধিকাংশ গভীর নলকূপগুলোতে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ফি চেয়ে ২০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। কোনো কৃষক নির্ধারিত মূল্যে চেয়ে টাকা দিতে গড়িমসি করলে তার জমিতে মিলছে না পানি। পানির সেচমূল্য নিয়ে এলাকায় মাইকিং করে জানান, দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। কোলা ইউনিয়নের হুদরাকুড়ির গভীর নলকূপের আওতাভুক্ত জমির মালিক কৃষক মামুন, রিপন, ওবাইদুর ও সালাম বলেন, জমিতে পানি সেচের জন্য মূল্য হিসেবে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। অপারেটর এক প্রকার জোর করে টাকা আদায় করছেন। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা না দিলে জমিতে পানি দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে হুদরাকুড়ির গভীর নলকূপের অপারেটর লিখন বলেন, সমিতির মাধ্যমে নলকূপ পরিচালনা করা হয়। অফিস থেকে পানির সেচের যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা দিয়ে চালানো সম্ভব না। যার কারণে বেশি টাকা নেয়া হচ্ছে। বালুভরা ইউনিয়নের চাঁদপুর ব্রিজের পাশের গভীর নলকূপের আওতাধীন জমির কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই নলকূপের অপারেটর বেলাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ১ হাজার ২০০ টাকা করে নিচ্ছি। বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি আবু তাহির বলেন, পানির সেচ মূল্য বেশি নেয়ার অভিযোগ পেয়েছি। কমিটিকে না জানিয়ে কেউ যদি পানির সেচ মূল্য বেশি নেয় তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম