গোপালগঞ্জে ৩৮ কোটি টাকার মেশিন অকেজো
এসএম হুমায়ূন কবীর, গোপালগঞ্জ
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২১, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এমআরআই, সিটি স্ক্যান ও ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে অকেজো থাকায় রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এমআরআই মেশিনের হিলিয়াম গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ার পর ৬ বছর পার হয়ে গেলেও তা আর চালু করা সম্ভব হয়নি। ২০১৫ সালে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালের জন্য এমআরআই মেশিন ক্রয় করে। মেশিনটি কিছুদিন চালু থাকার পর হিলিয়াম গ্যাস শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকে মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
২০১৩ সালে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য প্রায় ১০ কোটি ৬৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে সিটি স্ক্যান মেশিন ও ২০১৪ সালে ১০ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিজিট্যাল এক্স-রে মেশিন ক্রয় করা হয়।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সিটি স্ক্যান মেশিন ও সফটওয়্যার নষ্ট হওয়ার কারণে ডিজিট্যাল এক্স-রে মেশিন ৬ মাস ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতালে দক্ষ টেকনোলজি থাকায় তারা কেবল এসব মেশিন অপারেট করতে পারেন। কিন্তু মেশিনের ত্রুটি চিহ্নিত ও মেরামত করতে পারেন না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতারের পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় এক্স-রে কক্ষের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন রোগীরা। অধিকাংশ রোগী এক্স-রে না করতে পেরে বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে উচ্চ মূল্য এক্স-রে করছেন। এক্স-রে কক্ষের উত্তর দিকে রয়েছে সিটি স্ক্যান মেশিনের কক্ষ। ওই কক্ষটি বন্ধ রয়েছে, পাশের কক্ষে দু’জন টেকনোলজি বসে আছেন। জানতে চাইলে তারা বলেন, মেশিন নষ্ট থাকায় আমরা সিটি স্ক্যান করতে পারছি না। আর এমআরআই মেশিনতো অনেক আগেই অকেজো।
