Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

নালিতাবাড়ীতে ভোগাই নদীতে বালু উত্তোলন

হুমকিতে বসতবাড়ি ফসলি জমি ও নদী তীর রক্ষা বাঁধ

Icon

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নালিতাবাড়ীতে বেপরোয়া বালু সিন্ডিকেট। বাড়ছে নদী ভাঙন, বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি। ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে নদী তীর রক্ষা বাঁধ। চলতি বছর ভোগাই নদীর মন্ডলিয়াপাড়া, আন্ধারুপাড়া, ফুলপুর ও শিমুলতলা মৌজার ১২.৩২ একর নদীর জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের জন্য সরকারিভাবে ভ্যাটসহ প্রায় ৯০ লাখ টাকায় লিজ দেওয়া হয়েছে। ইজারাদাররা রয়্যালটি প্রদানের শর্তে পুরো নদী বালু ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। বালু ব্যবসায়ীরা লিজ নেওয়া এলাকার বাইরে গিয়ে কালাকুমা থেকে শিমুলতলা স্লুইসগেট পর্যন্ত ২০টি পয়েন্টে প্রায় শতাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাত-দিন বালু উত্তোলন করছে। নদীর ভাটির দিকে ইজারাবিহীন খালভাংগা, গোবিন্দনগর, মরিচপুরান মৌজায়ও চলছে একই অবস্থা।

এলাকাবাসীর ৪টি মৌজা ইজারা নিয়ে ইজারাদাররা দশ কিলোমিটার নদীর পুরোটাই দখল করে নিয়েছে। নদীর তীরের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ভাড়া নিয়ে, নদী তীর রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। ইজারাদার, বালু ব্যবসায়ী শক্ত সিন্ডিকেট হওয়ায় তাদের কথা কোনো কাজে আসছে না।

অভিযোগ করে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, গত কয়েক বছর ধরে ভাঙনে হাতিপাগার, নয়াবিলের এলাকার অনেকে বসতভিটাসহ সর্বস্ব হারিয়েছেন। নয়াবিল ডাক্তারের গোফ এলাকায় বালু উত্তোলনকারী ও নয়াবিল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবীর হোসেন জানান, সরকার গত তিন বছর ধরে ভোগাই নদীর মাঝখান থেকে ৪টি মৌজা বালু উত্তোলনের জন্য লিজ দিচ্ছে। কিন্তু নদী থেকে বালু উঠিয়ে নদী তীরে রাখার জন্য এবং বালু পরিবহণের জন্য কোনো ব্যবস্থা করে নাই। তাই বাধ্য হয়েই বালু উত্তোলনকারীদের নদী তীরে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা ভাড়া নিয়ে বালু তুলতে হয়। তা ছাড়া এবার যেসব জায়গা ইজারা দেওয়া হয়েছে, সেসব জায়গায় তেমন বালুও নেই। পরিবহণের সুবিধাও নেই। তাই ইজারা নেওয়া মৌজার বিপরীতে বালু উত্তোলন করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ৪টি মৌজায় ইজারা দেওয়া হলেও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ভাড়া করে বা নদীর যে কোনো প্রান্ত থেকে বালু উত্তোলন করে ট্রাক লোড দিলেই ইজারাদারকে ট্রাকপ্রতি রয়্যালটি দিতে হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন জানান, ইজারার নির্ধারিত স্থান ছাড়া নদীর যত্রতত্র বালু উত্তোলন বন্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। প্রয়োজনে আরও কঠোর হবো। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম