রাস্তায় গাড়ি চলে হেলেদুলে
দক্ষিণ বেদকাশি-কয়রা সদর
রিয়াছাদ আলী, কয়রা (খুলনা)
১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না কয়রার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের মানুষের। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইউনিয়নটি। তারপরেও মানুষ আশায় বুক বেঁধে বসবাস করছে। ওই ইউনিয়নের লোকদের উপজেলা ছাড়াও জেলা শহরের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি এতই খারাপ যে হেঁটে চলাচল খুবই দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কে হেলেদুলে চলে গাড়ি। মাঝেমধ্যে খানাখন্দে আটকে যায় গাড়ির চাকা। ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালকরা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কিছু জায়গায় ইট বিছালেও ভাঙাচোরা রাস্তায় মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল ছাড়া আর কোনো যানবাহন চলতে পারে না। খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাটকাটা থেকে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের গোলখালী পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তার এ দুরবস্থা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের (এলজিইডি) অধীন এ রাস্তা দিয়েই দুই ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের জেলা ও উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। কিন্তু রাস্তাটি বেহাল হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা য়ায় রাস্তার গর্তে চাকা দেবে যাওয়ায় মোটরসাইকেল রেখে সেখানে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছিলেন এক চালক। পরে গাড়িটি ঠেলে পার করলেন তিনি। এর খানিকটা দূরেই দেখা গেল আরও একটি বড় গর্ত। সেটিও এভাবে ঠেলে পার হতে হবে বলে জানা গেল। ইউপি দক্ষিণ বেদকাশি চেয়ারম্যন আছের আলী মোড়ল বলেন, ওই ইউনিয়নের কোস্টগার্ড, বন বিভাগের স্টেশন অফিস, কাস্টমস অফিস ছাড়াও নৌ-পুলিশের একটি থানা রয়েছে। এত কিছুর পরেও রাস্তাটি কি কারণে সংস্কার করা হচ্ছে না তার কোনো প্রশ্নের উত্তরের জবাব নেই তার কাছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দক্ষিণ বেদকাশি-কয়রা সদর
রাস্তায় গাড়ি চলে হেলেদুলে
দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না কয়রার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের মানুষের। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইউনিয়নটি। তারপরেও মানুষ আশায় বুক বেঁধে বসবাস করছে। ওই ইউনিয়নের লোকদের উপজেলা ছাড়াও জেলা শহরের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি এতই খারাপ যে হেঁটে চলাচল খুবই দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কে হেলেদুলে চলে গাড়ি। মাঝেমধ্যে খানাখন্দে আটকে যায় গাড়ির চাকা। ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালকরা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কিছু জায়গায় ইট বিছালেও ভাঙাচোরা রাস্তায় মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল ছাড়া আর কোনো যানবাহন চলতে পারে না। খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাটকাটা থেকে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের গোলখালী পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তার এ দুরবস্থা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের (এলজিইডি) অধীন এ রাস্তা দিয়েই দুই ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের জেলা ও উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। কিন্তু রাস্তাটি বেহাল হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা য়ায় রাস্তার গর্তে চাকা দেবে যাওয়ায় মোটরসাইকেল রেখে সেখানে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছিলেন এক চালক। পরে গাড়িটি ঠেলে পার করলেন তিনি। এর খানিকটা দূরেই দেখা গেল আরও একটি বড় গর্ত। সেটিও এভাবে ঠেলে পার হতে হবে বলে জানা গেল। ইউপি দক্ষিণ বেদকাশি চেয়ারম্যন আছের আলী মোড়ল বলেন, ওই ইউনিয়নের কোস্টগার্ড, বন বিভাগের স্টেশন অফিস, কাস্টমস অফিস ছাড়াও নৌ-পুলিশের একটি থানা রয়েছে। এত কিছুর পরেও রাস্তাটি কি কারণে সংস্কার করা হচ্ছে না তার কোনো প্রশ্নের উত্তরের জবাব নেই তার কাছে।