শেখ রাসেল এভিয়ারি ইকোপার্ক বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নিচ্ছে রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকোপার্ক। এ সংক্রান্ত ১শ’ সাড়ে ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়েছে একনেকে। একনেকে প্রকল্পটি পাস হওয়ার পর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী। প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে পড়ে থাকা ক্যাবল কার (রোপওয়ে) চালু করা হবে। গত বছর পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পার্কের বিভিন্ন স্থাপনা মেরামত, নির্মাণ এবং পুননির্মাণসহ পার্কের বিভিন্ন দিক উন্নয়নের ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থে পার্ক সম্প্র্রসারণ, এক কিলোমিটার নতুন রোপওয়ে (ক্যাবল কার) স্থাপন, চিল্ড্রেন কর্ণার নির্মাণ, ওয়াচিং টাওয়ার স্থাপন, বার্ড গ্যালারি স্থাপন, লেক নির্মাণ, সীমানা দেয়াল নির্মাণসহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এভিয়ারি পার্ককে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের কোদালা বিটের চন্দ্রঘোনা ও দক্ষিণ নিশ্চিন্তপুরের প্রায় ২১০ হেক্টর অর্থ্যাৎ ৫২০ একর বনভূমি নিয়ে শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকোপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। এটিকে বিশ্বমানের বিনোদন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার ১২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। যা একনেকে পাসও হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় চারটি ফেইজে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান। সবুজ পাহাড় ও কৃত্রিম হ্রদের ওপর দিয়ে আরও এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ক্যাবল কার যোগ করা হবে। প্রকল্প এলাকায় সীমানা দেয়াল নির্মাণসহ নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
এছাড়াও পার্কের বিভিন্ন স্পটে সুবিশাল খাঁচায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতের পাখি, প্রবেশ দ্বারে কৃত্রিম লেকে দেশি-বিদেশি হাঁস ও নানা জাতের জলচর পাখি ও পানকৌড়ির চঞ্চলতা, লেকের মাঝখানে দ্বীপের সঙ্গে সংযোগ সেতুতে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা আকর্ষণীয় ইভেন্টের কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের বিনোদনের জন্য শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক ইতিমধ্যেই অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। এখানে পর্যটক ও বিনোদনপ্রেমীদের জন্য বৃক্ষাচ্ছাদিত সবুজ বাগান আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে। পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে গড়ে তোলা হয়েছে বসার তোরণ।
