কয়রায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মারধরে কারাগারে ৪
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
খুলনার কয়রায় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে বাসায় আটকে মারধর ও নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজে জোর করে সই নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজহারুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরা হলেন উপজেলার উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা মজিবার রহমান এবং রাসেল।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ৫ মে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগবিধি অনুযায়ী সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক নজরুল ইসলাম। লিখিত পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে নিয়োগ দিতে চাপ সৃষ্টি করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ। চাপ উপেক্ষা করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে অনড় থাকেন ওই অধ্যাপক। এতে ক্ষিপ্ত হন আবদুল্লাহ। পরে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিফতরের পরিচালক জিয়াউলের গাড়িতে ফেরার পথে আবদুল্লাহের বাসার সামনে পৌঁছালে তিনিসহ অন্য আসামিরা গতিরোধ করেন। পরে ওই শিক্ষকের মুঠোফোন, মানিব্যাগ, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ আনুমানিক ২০ হাজার টাকা ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয় ও মারধর করে। পরে নিয়োগের কাগজে স্বাক্ষর করতে বললে রাজি না হলে জোর করে স্বাক্ষর নেয়। এ সময় তাদের মারধরে ভুক্তভোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় মামলা হয়।
