Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

মেহেরপুর-১ ও ২ আসন

‘ভিলেজ গ্র্যাজুয়েট’ ও ছাগলের ব্যাপারীও জয়লাভে আশাবাদী

Icon

তোজাম্মেল আযম, মেহেরপুর

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মেহেরপুরে অষ্টম শ্রেণি পাশ করলেই তাকে ‘ভিলেজ গ্র্যাজুয়েট’ বলা হয়। এমন তিনজন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। মেহেরপুর-১ (মেহেরপুর-মুজিবনগর) আসন থেকে ভিলেজ গ্র্যাজুয়েটের দ্বারপ্রান্তের দুজন এমপি প্রার্থী সপ্তম শ্রেণি পাশ। মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে একজন আছেন ভিলেজ গ্র্যাজুয়েট অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পাশ। তাদের বার্ষিক আয়ও এক লাখ টাকা করে। একজন প্রার্থী ছাগলের ব্যাপারী থেকে এখন কৃষি ও ব্যবসাজীবী। দুজন প্রার্থীকে কোনো ভোটার এবং যারা প্রার্থী হয়েছেন তারাও কোনোদিন তাদের নামও শোনেননি। তারপরও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভে আশাবাদী। মুজিবনগরের উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মো. মওলাদ আলী খান জেপির দলীয় প্রার্থী। তিনি সপ্তম শ্রেণি পাশ। ৫৪ শতক কৃষি জমি থেকে বার্ষিক এক লাখ টাকা এবং ব্যবসা থেকে বার্ষিক এক লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় করেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মো. বাবুল জম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসনে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের এমপি প্রার্থী। সপ্তম শ্রেণি পাশের পর আর্থিক অনটনে লেখাপড়া করতে পারেননি। ১০ শতক জমি থেকে বার্ষিক আয় দুই লাখ ১০ হাজার টাকা। সদর উপজেলার নতুন মদনাডাঙ্গা (আজিজাবাদ) গ্রামের মো. গোলাম রসুল মেহেরপুর-২ আসনে প্রার্থী হয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) থেকে। গ্রাম ঘুরে তিনি ছাগল কিনতেন। বিক্রি করতেন বিভিন্ন হাটে। এজন্য তিনি গ্রামে ছাগলের ব্যাপারী নামেও পরিচিত। তিনি অষ্টম শ্রেণি পাশ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম