Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

৫২ বছরে ১৩ বার ভাঙন

বাঘায় পদ্মাপাড়ে হাবলু শেখর তাসের ঘর

Icon

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পদ্মাপাড়ের অনেক মানুষই জীবিকা নির্বাহের জন্য এ নদীর ওপর নির্ভরশীল। খরস্রোত নদীর ওপর নির্ভর করে যেমন টিকে আছে অসংখ্যা জীবন, তেমনি দু’কূলজুড়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেকেই। পদ্মার এ মায়াবী স্রোতেই প্রতিবছর বাস্তুহারা হচ্ছে হাজারও মানুষ। বাঘার চকরাজাপুর ইউনিয়নের আম বাগান চরের বাসিন্দা হাবলু শেখ তাদেরই একজন। নদী ভাঙনে বসতবাড়ি ও জমি হারিয়ে পরিবার নিয়ে মাসের পর মাস খোলা আকাশের নিচে বসবাস করেছেন তিনি। নতুন আশা বুকে নিয়ে গড়েছেন নতুন ঘর। তবে সে আশার বাতি জ্বলেনি খুব বেশি দিন। পদ্মার মায়াবী স্রোত গিলে খেয়েছে সে ঘরও। ৫২ বছর বয়সে পদ্মাগর্ভে ১৩ বার বাড়ি হারিয়েছেন হাবলু। বুকভরা আশা নিয়ে ফের এ তাসের ঘর বেঁধেছেন তিনি।

হাবলু শেখ বলেন, আমার যা ছিল সব এখন পদ্মাগর্ভে। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে অন্যের জমি লিজ নিয়ে ঘর তুলেছি। তবে এখানেও রয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। হাবলু শেখের বৃদ্ধ মা ছকিনা বেওয়া বলেন, আমার স্বামীর ৩০ বিঘা জমি ছিল। পদ্মার ভাঙনে ১৩ বার বাড়ি হারিয়েছি। এখন বাড়ি করার মতো কোনো জমি নেই। অনেকদিন খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টানিয়ে ছিলাম। এখন এক ব্যক্তির থেকে ৫ কাঠা জমি লিজ নিয়ে বাড়ি করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ডিএম বাবলু মনোয়ার দেওয়ান বলেন, হাবলু শেখের মতো অনেক পরিবার পদ্মার ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে। আমি নিজেও ৭ বার বাড়ি স্থানান্তর করেছি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম