ব্যর্থ পিপিপিতে এবারো সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২১, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এক যুগেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বা পিপিপি প্রকল্প থেকে। প্রতি অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু সে টাকা অব্যবহৃত থেকে যায়। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে আবার পিপিপিতে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট বক্তৃতা থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) বাজেটে পিপিপি খাতে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে টাকা খরচ হয়নি। এই খাতে আবার একই অঙ্ক রাখা হয়েছে। গত এক যুগে পিপিপিতে মাত্র একটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃৃতায় বলেন, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে পিপিপির আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে পিপিপি কর্তৃপক্ষের আওতায় ৭৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত আছে, যার বিপরীতে বিনিয়োগের পরিমাণ ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। পিপিপির আওতায় এখন পর্যন্ত মাত্র একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ছয়টি প্রকল্প নির্মাণাধীন। ২০০৯ সালে পিপিপি মডেল চালুর পর এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসেনি।
জানা গেছে, অবকাঠামো নির্মাণে সরকারি অর্থায়নের বিকল্প হিসাবে পিপিপি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। সরকারি পর্যায়ে পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি নীতিমালা রয়েছে। সারা দেশে ১০০টি অর্থনেতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে সরকার। এগুলোতে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করছে সরকার। এরই মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ১৫০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগকারীরা বরাবরই বলে আসছেন, বিনিয়োগের পথে প্রধান বাধা অবকাঠামো। এ ছাড়া গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বিভিন্ন সেবা নিতে দেরি। এসব সমস্যার সমাধান না হলে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না বলে আসছেন।
