জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী শুরু
সাংস্কৃতিক রিপোর্টার
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০১৯, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
শিল্পকলা একাডেমিতে সোমবার জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের সঙ্গে অতিথিরা। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শিল্পকলা একাডেমিতে ৩১০ জন শিল্পীর ৩২২টি শিল্পকর্ম নিয়ে শুরু হল দ্বিবার্ষিক জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীর ২৩তম আসর। চিত্রকলা, ছাপচিত্র, ভাস্কর্য, কারুশিল্প, স্থাপনা ও ভিডিও আর্ট মাধ্যমের শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে।
এতে আরও রয়েছে পারফরমেন্স আর্ট। সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় চিত্রশালায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ও চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভিাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন চারুকলা বিভাগের পরিচালক শিল্পী আশরাফুল আলম পপলু। উদ্বোধনী আয়োজনের শুরুতেই অর্কেস্ট্রা পরিবেশন করেন একাডেমির যন্ত্রশিল্পীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অংশগ্রহণকারী সব শিল্পীকে অভিনন্দন জানিয়ে এইচটি ইমাম বলেন, এটি চমৎকার একটি প্রদর্শনী হবে।
দেশ-বিদেশে আমাদের শিল্পীদের যথেষ্ট মর্যাদা আছে। সবাইকে উপযুক্ত মূল্য দিয়ে শিল্পকর্ম ক্রয় করার আহ্বান জানাই।প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে ৮টি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এর মধ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী কামরুজ্জামান, চিত্রকলা, ভাস্কর্য, ছাপচিত্র, স্থাপনা- এই চারটি বিভাগে সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে শিল্পী রাফাত আহমেদ বাঁধন, শিল্পী তানভীর মাহমুদ, শিল্পী রুহুল করিম রুমী, শিল্পী সহিদ কাজী।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী উত্তম কুমার তালুকদার। দীপা হক পুরস্কার পেয়েছেন সুমন ওয়াহিদ ও চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী ফারিয়া খানম তুলি।
শিল্পকলা একাডেমির পুরস্কারের অর্থমূল্য ২ লাখ টাকা ও বিভাগীয় সম্মানসূচক চারটি পুরস্কারের প্রতিটির অর্থমূল্য ৫০ হাজার টাকা, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ লাখ টাকা, দীপা হক পুরস্কারের অর্থমূল্য ২০ হাজার টাকা ও চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীদের হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এইচটি ইমাম।
প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা ও শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই প্রদর্শনী। ২১ জুলাই শেষ হবে এই প্রদর্শনী।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রমকে স্থায়ীরূপ দেয়া হবে -সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী : সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি বলেছেন, ‘দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প’র মাধ্যমে সরকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সেবা ক্রয় করে মাঠ পর্যায়ে ৬৪ জেলায় লাইব্রেরি সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
প্রকল্পটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ে বইপড়া আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রমকে কীভাবে স্থায়ীরূপ দেয়া যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
তদুপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রমের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে বইপড়া আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার দুপুরে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর প্রাঙ্গণে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের উদ্যোগে ‘দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প’র অধীনে ৩০টি নতুন ভ্রাম্যমাণ গাড়ি-লাইব্রেরি সংযোজন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক জাহানারা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এসএম কামরুজ্জামান।
