মেয়র আনিসুল হক সড়কে ময়লার ভাগাড়
তেজগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০১৯, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সড়ক ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সৃষ্টি হচ্ছে ডেঙ্গুবাহিত ভয়ংকর এডিস মশা। অন্যদিকে ফুটপাত ভেঙে বেহাল হয়ে পড়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়েই চলাচল করছে পথচারীরা।
পথচারীদের অভিযোগ, ফুটপাত ও রাস্তার ওপর ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় পথচারীদের নাক চেপে ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়াও এসব জায়গায় জমে থাকা ময়লা পানিতে এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করছে।
জানা যায়, তেজগাঁও সাত রাস্তা থেকে কারওয়ান বাজার রেলগেইট পর্যন্ত ট্রাকস্ট্যান্ড ২০১৫ সালে উচ্ছেদ করা হয়। সড়কটি সংস্কার করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এ সড়কের নামকরণ করা হয় ‘মেয়র আনিসুল হক সড়ক’।
সরেজমিন দেখা যায়, মেয়র আনিসুল হক সড়কের মাঝামাঝি অংশের রাস্তার উত্তর পাশে দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত ও রাস্তার ওপর ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ট্রাকস্ট্যান্ডের শ্রমিকরা বলছে, প্রতিদিনই এসব ময়লা ফেলা হচ্ছে। আবার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসব ময়লা নিয়েও যায়। দেখা যায়, পুরো সড়ক পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। অথচ ময়লা ফেলায় এ অংশের ফুটপাতে টাইলসসহ প্রায় ১০ মিটার অংশ ভাঙাচোরা।
সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ছাত্র রিয়াজ আহমেদ বলেন, আমাকে প্রতিদিন এই পথ দিয়ে চলাচল করতে হয়। ফুটপাত ভাঙা ও ময়লা-আবর্জনা থাকায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। কয়েকদিন আগে একজন আন্টি ও স্কুলের বাচ্চার ওপরে রিকশার সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বাচ্চার অনেক ক্ষতি হয়। আরেক পথচারী ইমরুল বলেন, পুরো সড়ক অনেক সুন্দর গুছানো ও পরিষ্কার। অথচ কিছু অংশে ময়লার ভাগাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা জনগণ সচেতন নই, আবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো তদারকি করে না।
সোহেল নামে এক পথচারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার ওপর এভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ফুটপাতও বেহাল হয়ে পড়েছে। তবুও টনক নড়ছে না সিটি কর্পোরেশনের।
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহম্মেদ মজুমদার বলেন, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সড়কে ময়লা-আবার্জনার ভাগাড় করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্যও দুঃখজনক। এখানে কোনো আবাসিক এলাকা নেই। এত সুন্দর পরিষ্কার একটি সড়কে তার ওপর ময়লা ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। রাতে কারওয়ান বাজার থেকে এসব ময়লা ফেলা হয় বলে আমরা শুনেছি।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন বলেন, মশার প্রজনন ক্ষেত্র বন্ধে আমরা বদ্ধপরিকর। এ অঞ্চলের প্রতিটি ওয়ার্ডে অতিরিক্ত কর্মী দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। সকাল-বিকাল মশার ওষুধ দেয়া হচ্ছে। খুব দ্রুত রাস্তা থেকে ময়লা সরিয়ে নেয়া হবে। আর যাতে ময়লা ফেলতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এছাড়াও যে অংশে ফুটপাত ভেঙে গেছে তা সংস্কার করা হবে।
