‘প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে সাফল্য আসবেই’
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
স্বপন কুমার রায়ের জন্ম কুমিল্লায়। ব্যবসায়ী বাবার সুবাধে বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে। সেখানেই পড়াশোনা। পরে বিসিএস ক্যাডার। বর্তমানে তিনি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হিসেবে কর্মরত আছেন। স্বপন কুমার রায় মনে করেন, মেধা, কর্মদক্ষতা ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে সাফল্য আসবেই। তিনি বলেন, জীবনে সফল হতে হলে দায়িত্বশীল হতে হবে। কাজকে ভালোবাসতে হবে এবং লেগে থাকতে হবে।
স্বপন কুমার রায় চট্টগ্রাম জেএমসন উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, চিটাগাং কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ৮৪তম ব্যাচে প্রশাসনে তিনি বিসিএস ক্যাডার হন। ফরিদপুরে প্রথম চাকরি জীবন শুরু করেন। তিনি পড়াশোনায় যেমন মেধাবী ছিলেন তেমনি দায়িত্বশীলও ছিলেন। পারিবারিক জীবনেও তিনি মেধা এবং দায়িত্বের প্রমাণ রেখেছেন। তিনি দুই সন্তানের জনক। দু’জনই বুয়েটে পড়াশোনা করছেন। তারা স্ত্রী একজন সফল ব্যবসায়ী। ইচ্ছেশক্তি থাকলেই মানুষ তার স্বপ্নের দুয়ারে পৌঁছে যায়- তার প্রমাণ স্বপন কুমার রায়। ছোটবেলা থেকেই তার ইচ্ছে ছিল প্রশাসনে চাকরি করা এবং বিজ্ঞান নিয়ে দেশের জন্য কিছু করার। আর সে ইচ্ছাশক্তি থেকেই তিনি বিসিএস ক্যাডার হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মাঠপর্যায়ের প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান।
তিনি বলেন, আমি কখনও ভাবিনি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাব। আমি সব কাজ ভালোবেসে করি। তিনি বলেন, আমি যোগদান করার পর বিজ্ঞান জাদুঘরের প্রচারণা কাজ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান জাদুঘরর সম্পর্কে আমি জানাতে পেরেছি। বর্তমানে বিজ্ঞান জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে দেশের ৪৬৫টি উপজেলায় প্রতি বছর বিজ্ঞান মেলা হয়। এছাড়াও প্রতিটি স্কুল ও কলেজে বিজ্ঞান মেলা করার জন্য সব ধরনের সহযোগিতাও করে বিজ্ঞান জাদুঘর। বিজ্ঞান জাদুঘরের দুটি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি রয়েছে। একটি মুভি বাস ও অন্যটি মিউজিয়াম বাস। বছরে প্রায় ৯০ দিন মোবাইল মিউজিয়ামগুলো দেশের প্রতিটি জেলায় বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও সারা বছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে বিজ্ঞান জাদুঘরের ভবনটি ভেঙে বিশ্বমানের একটি আধুনিক বিজ্ঞান জাদুঘর নির্মাণ করা হবে। পাশেই আরেকটি ১৩তলা ভবন নির্মিত হচ্ছে যার নাম সায়েন্স কমপ্লেক্স।
