বনশ্রী-মেরাদিয়া
অধিকাংশ সড়কবাতি নষ্ট
মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রামপুরা-ডেমরা সড়কের মেরাদিয়া হাট সংলগ্ন প্রধান রাস্তার পাশে অস্থায়ী ময়লার ভাগাড়ের কারণে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে নাকাল হয়ে পড়েছেন পথচারী ও বাসিন্দারা। বৃষ্টি হলেই খানাখন্দ সড়কে জমে পানি। ভাঙাচোড়া সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন বাসিন্দারা। বনশ্রী ও মেরাদিয়ার অধিকাংশ সড়কবাতি নষ্ট হয়ে গেছে। বাতির অভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন বেশ কিছু এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
খিলগাঁও থানাধীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩নং ওয়ার্ড হচ্ছে মেরাদিয়া-বনশ্রী এলাকা।
মেরাদিয়া-বনশ্রী এলাকায় নতুন করে প্রায় সাড়ে ৯শ’ সড়কবাতি স্থাপন করা হলেও বিস্তৃত এ এলাকায় আরও অন্তত ৭শ’ বাতির প্রয়োজন। নতুন স্থাপনা করা দেড় শতাধিক সড়কবাতি মাসের পর মাস বন্ধ রয়েছে। এতে অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকাগুলোতে প্রতিনিয়ত চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। বনশ্রীর মেইন রোড ও কিছু ব্লকে এখনও সড়কবাতি স্থাপনই করা হয়নি। এতে সন্ধ্যার পরে রাস্তায় অন্ধকার নেমে আসে। এতে নানা সমস্যায় পড়েন পথচারীরা। তাছাড়া নষ্ট এলইডি বাতি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ করছে না। এলইডি লাইট লাগিয়ে এলাকার অন্ধকার দূর করার কথা থাকলেও কাজ হচ্ছে না। শুধু বনশ্রীতে প্রয়োজন আরও ৪শ’ এলইডি লাইট। তবে এসব লাইট নষ্ট হলে সংস্কার করতে দীর্ঘ সময় লাগে। আর বনশ্রী এলাকায় লাইট নষ্ট হলে ওখানে সিটি কর্পোরেশনের ইলেকট্রিশিয়ানরা যেতে চান না বলে অভিযোগ রয়েছে। বনশ্রী কল্যাণ সমিতির সদস্যরাও অভিযোগ জানিয়ে কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। তবে সমস্যা সমাধানে দ্রুত মেরামতযোগ্য সড়কবাতি স্থাপানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মেরাদিয়া প্রধান সড়কের পাশে স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন ভবনটির (এসটিএস) নির্মাণকাজ চলছে ধীরগতিতে। ফলে প্রধান সড়কের পাশেই ওয়ার্ডের ময়লা-অবর্জনা ফেলেছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তাছাড়া ভাগাড় থেকে যথাসময়ে ময়লা অপসারণ করা হয় না বলে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে রামপুরা-ডেমরা সড়কের মেরাদিয়া থেকে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। এতে নাকাল হয়ে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দা ও পথচারীরা।
এ বিষয়ে মেরাদিয়া নবীনবাগ এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা আলমাস হোসেন যুগান্তরকে বলেন, এলাকায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অলিগলিতে প্রাইমারি ডাম্পিং স্টেশন প্রয়োজন। কারণ মানুষ যত্রতত্র ময়লা ফেলে রাখে বলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সড়কে যানজটের বিষয়ে বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা, বিশিষ্ট গবেষক ও কলামিস্ট লায়ন মীর আবদুল আলীম যুগান্তরকে বলেন, মেরাদিয়ায় সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী ময়লার ভাগাড় থাকা বড় ধরনের অব্যস্থাপনা। হাজারও যাত্রী রামপুরা-ডেমরা সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এ কারণে কর্তৃপক্ষের নজদারি প্রয়োজন।
সরেজমিন আরও দেখা গেছে, এখানকার প্রায় ৪২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক এখনও কাঁচা। আর মেরাদিয়া-বনশ্রীর প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়ক ভাঙাচোড়া। অধিকাংশ খারাপ সড়কে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে পানি।
ডিএসসিসি ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাকসুদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, এলাকার ৪ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পর্যায়ক্রমে কাজ করা হচ্ছে। কাজের বিষয়ে মেয়র মহোদয় নিবেদিত প্রাণ। এলাকার যাবতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিক দুর্ভোগের বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে অবগত করা হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
