Logo
Logo
×

রাজধানীর খবর

অকৃত্রিম ভালোবাসায় মেয়র আনিসুল হককে স্মরণ

Icon

সাংস্কৃতিক রিপোর্টার

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদ, পরবর্তীতে রাজধানীর একাংশের নগরপিতা; এমন পরিচয়ের বাইরে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ছিলেন সংস্কৃতিজন। সেই সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষরাই তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রকাশ ঘটালেন তার স্মরণ অনুষ্ঠানে। শোকার্ত শিল্পী ও সংস্কৃতিজনরা বললেন, সুন্দরের স্বপ্ন দেখানো ‘অগ্রণী’ এই নগরপিতাকে হারানোর শোক তারা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। কথামালা ও সুরে সুরে তারা সেই কথায় যেন বারবার বলছিলেন। শিল্পীর অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক গড়ে তুলেছিলেন ‘শিল্পীর পাশে ফাউন্ডেশন’। বুধবার রাতে রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘অমেয় ভালোবাসার নিবেদনে’ শীর্ষক স্মরণ সভার আয়োজন করে তার হাতে গড়া সেই ফাউন্ডেশন।

আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক-কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী অঞ্জন চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী, টিভি ব্যক্তিত্ব নওয়াজেশ আলী খান। উপস্থিত ছিলেন আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক। সভার শুরুতে শিল্পীর পাশে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন মহাসচিব ব্যারিস্টার ওমর সাদাত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবদুন নুর তুষার।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সদ্যপ্রয়াত কণ্ঠশিল্পী শাম্মী আখতার ও আনিসুল হকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আনিসের মতো সুস্থ ও সৎ চিন্তার মানুষকে রাজনীতিতে বড় দরকার ছিল।’ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর মানুষটি কয়েক মাসের মধ্যে নিঃশেষ হয়ে যাবে এটা বিশ্বাস করা কঠিন।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘আমাদের দেশে স্টার নেই একেবারে। আনিস ছিল আমাদের স্টার। সেলিনা হোসেন বলেন, ‘প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের মাধ্যমে আনিস সমাজ পরিবর্তনের চিন্তা করত, স্বপ্ন দেখত। আমাদের উন্নয়ন তো শুধু ইট, কাঠ, পাথরের মাধ্যমে নয়। রুবানা হক বলেন, ‘আমার চারপাশে আনিস এখনও আছেন। পরিবারের প্রতিটি মানুষ আমরা অপেক্ষায় থাকি, কোনো এক সময় আনিস দরজা দিয়ে ঢুকবে। আমার ছেলেমেয়েরা যখন কথা বলে আমি আনিসকে খুঁজে পাই। জীবন বড় নিষ্ঠুর। আনিসের সঙ্গে কাটানো শেষ চার মাসে আমি অনুভব করলাম, মৃত্যু সহজ। তার চেয়ে বেঁচে থাকা অনেক কঠিন।’

অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, গোটা ঢাকা শহরের দেয়ালকে চিত্রকলায় সুসজ্জিত করার পরিকল্পনা করেছিলেন আনিস। তার মধ্যে এক নিজস্ব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখেছি, তার মন ছিল তারুণ্যমণ্ডিত।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকে আমাকে প্রশ্ন করেন, কিভাবে সুন্দর আগামীর ঢাকা গড়ে তুলব। আমি তো মনে করি, আনিস ভাই যে এজেন্ডা ও ম্যানিফেস্টো ঠিক করে গেছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম