ধানের শীষ বিএনপির নয় জাতির মার্কা
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘রাস্তায় পোস্টার থাকুক আর না থাকুক, জনগণের মার্কাতেই জনগণ ভোট দেবে। আর সেই মার্কাটা হচ্ছে ধানের শীষ। ধানের শীষ এখন আর বিএনপির মার্কা নয়, এটা জাতির মার্কা, ধানের শীষ গণতন্ত্রের মার্কা। মুক্তিযুদ্ধকালীন যেমন জয় বাংলা ছিল আমাদের স্লোগান, তেমনি ধানের শীষ জাতির আকাক্সক্ষার প্রতীক, পরিবর্তনের মার্কায় পরিণত হয়েছে’।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রোববার নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের আয়োজনে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাবনা ও শঙ্কা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সোমবার থেকে সেনারা নামবেন। জনগণ আমাদের সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করে। তাদের প্রতি মানুষের এতটুকু আস্থা আছে। কারণ, তারা কোনও অনৈতিক কাজকে সমর্থন করবে না।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের মন স্থির করে রেখেছে। এবারের খেলাটা ভিন্নভাবে হবে। হাজারে হাজারে, লাখে লাখে মানুষ ভোট দিতে আসবে। ভোট দেবে যাকে পছন্দ, তাকে। ভারতীয় এজেন্টদের ভোট দেবে না তারা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘যে দেশে প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেন না, সে দেশে নির্বাচন কমিশন কথা রাখবেন, তা আশা করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা-চেতনার রিফ্লেকশন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত তিনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রতিবারই কথা ভঙ্গ করেছেন। তিনি বলেছিলেন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চান। জনগণ যাকে ইচ্ছা ভোট দেবে, জনগণ যদি চায় তাহলেই তিনি নির্বাচিত হবেন। কোনোভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করবেন না। কিন্তু তিনি তার কথা রাখেননি।’ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম।
ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ৩০ তারিখ শুধু নির্বাচন নয়, আন্দোলনও বটে। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় যারা আছেন তারা চক্রান্ত করছেন, তাদের মোকাবেলা করতে হবে। আমি শেখ মুজিবকে পছন্দ করতাম। কিন্তু, তার হাত ধরেই গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। বাকশাল না হলে হয়তো এমন হতো না। হ্যাঁ, শেখ হাসিনার অধীনে উন্নয়ন হয়েছে। তবে তা কিছু লোকের উন্নয়ন হয়েছে। যাদের উন্নয়ন হয়েছে, তারা বিদেশে বাড়ি তৈরি করেছে আরাম-আয়েশে থাকার জন্য।
