Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

ক্যাম্প পরিদর্শনে জার্মান রাষ্ট্রদূত

ভারত থেকে ১৩শ’ রোহিঙ্গা ঢুকেছে বাংলাদেশে

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ভারত থেকে ১৩শ’ রোহিঙ্গা ঢুকেছে বাংলাদেশে

চলতি বছর ভারত থেকে অন্তত ১৩০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির এক কর্মকর্তা। মিয়ানমারে ফেরত পাঠনো হতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকেই তারা পালিয়ে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিজনেস ডে’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

মিয়ানমারে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এদের বেশিরভাগই বসবাস করছে আশ্রয় শিবিরে। আবার অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে অনেককে রাখা হয়েছে অভিবাসী আটক কেন্দ্রে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত। জাতিসংঘসহ আরও অনেক আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার সংগঠন তাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাখাইনে সহিংসতা চলমান থাকার পরও ভারতের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেশনে স্বাক্ষর করেনি ভারত। ২০১৮ সালে তারা ২৩০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে। কট্টরপন্থী হিন্দুরা বারবারই তাদের বিতাড়নের দাবি জানাচ্ছিলেন। ফলে সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা শঙ্কার মধ্যে ছিল। জাতিসংঘ ও অন্যান্য বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারসেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের মুখপাত্র নয়ন বোস বলেন, ৩ জানুয়ারি রোহিঙ্গাদের নতুন এই ঢল শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভারত থেকে ৩০০ পরিবারের মোট ১৩০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।

তাদের সবাইকে জাতিসংঘের ট্রানজিট সেন্টারে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।’ জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ফিরাস আল খাতিব বলেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন জার্মান রাষ্ট্রদূতের : আমাদের টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত মি. পিটার ফারেন হুলস। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের অনিবন্ধিত লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শন শেষে তিনি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে ক্ষতিগ্রস্ত হোস্ট কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় সঙ্গে ছিলেন এনজিও সংস্থা আনন্দের নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান মিয়া, এরিয়া ম্যানেজার মো. হাসান চৌধুরী, রেসপন্স কো-অর্ডিনেটর বজলুর রশিদ। মতবিনিময়কালে হোস্ট কমিউনিটির লোকজন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে স্থানীয়দের শ্রমবাজার দখল, মাদক চোরাচালানে সম্পৃক্ততা, রাস্তা-ঘাটের ক্ষয়ক্ষতি, খাদ্য সংকট ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির চিত্র তুলে ধরেন। ফেরার পথে জার্মান রাষ্ট্রদূত বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

রোহিঙ্গা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম