Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১১ অক্টোবর

৮ পৃষ্ঠার প্রশ্নপত্র কমিয়ে ২ পৃষ্ঠা করা হয়েছে * এবারও অযোগ্য কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে আগামী ১১ অক্টোবর। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এই ভর্তি পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে ওএমআরসহ প্রশ্নপত্র ছিল ৮ পৃষ্ঠার। এবার তা কমিয়ে ২ পৃষ্ঠা করা হয়েছে, এতে কোনো সেলাই নেই। ফলে এটি সরাসরি মেশিনে দিয়ে ফলাফল নির্ণয় করা সম্ভব হবে। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ‘ইতিপূর্বে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের চারটি সেট থাকত। এবার তা থাকছে না। এবারও ১০০টি প্রশ্নেই পরীক্ষা হবে। তবে প্রত্যেকটি প্রশ্নপত্রই হবে ভিন্ন ভিন্ন। অর্থাৎ একশ’টি প্রশ্ন একই থাকবে কিন্তু কারও সঙ্গে কারও মিল থাকবে না।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, এবার মন্ত্রণালয়ের অযোগ্য ঘোষিত মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আগে ৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে সামগ্রিক বিবেচনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থী ভর্তিতে অযোগ্য ঘোষণা করে। কিন্তু তারা আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করায়। এর মধ্যে একটি মেডিকেল কলেজ তাদের কার্যক্রম চালানোর অবস্থায় নেই, আর একটির উত্তরণ ঘটেছে। বাকি ৭টি মেডিকেল কলেজের অবস্থার উন্নতি না হলেও তারা আদালতের আদেশ বলে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে।

মূল বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু বলেন, ১১ অক্টোবর দেশব্যাপী একযোগে ১৯টি কেন্দ্রের ৩২টি ভেন্যুতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বছর ৪ হাজার ৬৮টি সরকারি আসন ছাড়াও ৬ হাজার ৩৩৬টিসহ ১০ হাজার ৪০৪টি বেসরকারি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার ৯২৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার ৯ জন বেশি।

তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ, পরীক্ষার দিন সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নির্বিঘেœ চলাচল, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, কোচিং সেন্টার বন্ধ করা, ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখা, পরীক্ষা কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, প্রশ্ন ও উত্তরপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কুচক্রী মহলের অপরাধ তৎপরতা বন্ধে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া পরীক্ষার আগের দিন রাত ১০টায় থেকে পরীক্ষার দিন বেলা ১১টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র পাঠানোর জন্য ট্রাঙ্কের সঙ্গে সংযুক্ত ট্র্যাকিং ডিভাইসও প্রস্তুত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তৎপরতা ও নজরদারি জোরদার করেছে। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরের ৫টি কেন্দ্রের ১১টি ভেন্যুতে ৩৫ হাজার ৯৮৫ পরীক্ষার্থী এবং ঢাকা বাইরে ১৫টি জেলায় ৩৫ হাজার ৯৮৫ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে কেন্দ্র তদারকির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ১০৭ কর্মকর্তার সমন্বয়ে কেন্দ্র ও ভেন্যুভিত্তিক টিম গঠন করে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লা, বিসিপিএস’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ, ওভার সাইট কমিটির সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ ও নাইমুল ইসলাম খান প্রমুখ।

ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিদর্শনকারী টিমসহ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, হেডফোন, ব্ল–টুথসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা, বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার দিন সকাল ৯টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম