যশোরের ছাত্ররাজনীতি
যুবলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ পূর্ণাঙ্গ হয়নি যুবদলের কমিটি
ইন্দ্রজিৎ রায়, যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যশোর জেলা যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক এখন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ঘাড়েই ১৪ বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। ১৭ বছরেও যুবলীগের সম্মেলন না হওয়ায় নতুন পদপ্রত্যাশীদের হতাশা বাড়ছে দিন দিন। কবে নাগাদ সম্মেলন হবে, সেটিও নিশ্চিত নয় কেউ। অপরদিকে যশোর জেলা যুবদলের আংশিক কমিটিতে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। প্রায় দেড় বছরেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। প্রস্তাবিত কমিটির কতিপয় সদস্যের ব্যাপারে রয়েছে পরস্পরের আপত্তি। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করতে পারেনি সংগঠনের হাইকমান্ড।
যুবলীগে ১৪ বছর মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি : ২০০৩ সালের ১৯ জুলাই যশোর জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। এতে মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীকে সভাপতি ও জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা যুবলীগের কমিটি হয়। ৫৩ সদস্যের এই কমিটির মেয়াদ ২০০৬ সালে শেষ হয়। কিন্তু প্রায় ১৪ বছরেও সম্মেলন হয়নি। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুকে সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণার সময় বলেছিলেন, যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগের শর্তে তাদেরকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক করা হল। এরপর গঠনতন্ত্রের আলোকে জেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সৈয়দ মুনির হোসেন টগর ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পেয়েছেন।
নতুন কমিটিতে পদ প্রত্যাশীদের দাবি, দীর্ঘদিনেও সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে না। অবিলম্বে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করা হোক। এ প্রসঙ্গে জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, সভাপতি-সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন। এজন্য দুটি পদ শূন্য হয়। এজন্য ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছি আমরা। আপাতত সম্মেলনের কোনো বার্তা নেই। এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি রয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই যুবদলে : যশোর জেলা যুবদলের কমিটি ঘোষণার এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি দেড় বছরেও। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আটকে আছে কমিটি।
এ প্রসঙ্গে যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হয়ে গেছে। ব্যস্ততার তালিকাটি আমরা আনতে পারিনি। আশা করি, দ্রুতই পূর্ণাঙ্গ কমিটি হাতে পাব।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এক যুগের নিষ্ক্রিয় কমিটি ভেঙে ২০১৮ সালের পহেলা জুন যশোর জেলা যুবদলের পাঁচ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এম তমাল আহমেদকে সভাপতি, আনছারুল হক রানাকে সাধারণ সম্পাদক, বদীউজ্জামান ধনীকে সিনিয়র সহসভাপতি, নাজমুল হোসেন বাবুলকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কবির হোসেন বাবুকে সাংগঠনিক করা হয়। ওই কমিটিকে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যুবদলকে নিজেদের পক্ষে নিতে তৎপর হয়ে ওঠে যশোরে বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপ। এজন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটির দুই দফা তালিকা পাঠিয়েও এখনও অনুমোদন করানো যায়নি।
