Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

চিড়িয়াখানা করোনামুক্ত রাখতে নানা উদ্যোগ

Icon

শিপন হাবীব

প্রকাশ: ০২ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মহামারী করোনার থাবা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না বিভিন্ন দেশের চিড়িয়াখানায় থাকা প্রাণীও। নিউইর্য়কের ব্রনক্স চিড়িয়াখানায় চারটি বাঘ ও তিনটি সিংহ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়। এর আগে এ চিড়িয়াখানার আরও একটি বাঘ ও ছয়টি বনবিড়ালের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সব চিড়িয়াখানায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকায় জাতীয় চিড়িয়াখানা এবং রংপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাজশাহী ও খুলনা চিড়িয়াখানায় প্রাণীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সন্দেহ হলে করা হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। খাঁচাগুলোয় স্প্রে করা হচ্ছে জীবাণুনাশক। এ বিষয়ে খোঁজ রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ও।

প্রাণিবিদদের মতে, বিড়াল প্রজাতির প্রাণী যেমন বাঘ, সিংহ, মেছো বিড়াল, চিতা ও বনবিড়ালের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। তবে দেশের কোনো চিড়িয়াখানায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।

জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর এসএম নজরুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, নিউইয়র্কের চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ ও বনবিড়ালের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য পাওয়ার পর ২০ মার্চ থেকে আমরা সতর্ক রয়েছি। জাতীয় চিড়িয়াখানাসহ দেশের আরও ৫ চিড়িয়াখানায় প্রাণীর খাদ্য কেনা থেকে পরিবেশনে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। আমাদের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ৪টি শাখায় প্রতিদিন অন্তত তিনবার জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। আমাদের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়নি। সর্বোচ্চ সতর্ক থেকেই আমরা পুরো চিড়িয়াখানাকে জীবাণুমুক্ত রাখছি। বাইরের কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তবে ইদানীং চিড়িয়াখানায় বাইরে থেকে প্রচুর পাখি আসছে।

নজরুল ইসলাম আরও বলেন, বিড়ালজাতীয় এসব প্রাণী থেকে মানবদেহে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয় না বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। কিন্তু মানবদেহ থেকে এসব প্রাণীর দেহে সংক্রমণ ঘটতে পারে। এ চিড়িয়াখানার চিকিৎসক নাজমুল হুদা জানান, আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছি। প্রতিটি পশু-প্রাণীকে বিশেষ নজরে রাখা হচ্ছে। এছাড়া চিড়িয়াখানায় কর্মরত কর্মীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই প্রাণীদের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রাণীদের সরবরাহ করা খাবারের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। কোনো প্রাণী অসুস্থ হলে যাতে আলাদা খাঁচায় রাখা যায়, সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ আসিফ জানান, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে শুধু সুস্থ কর্মীদের বাঘ-সিংহকে খাবার দেয়া বা পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত করতে হবে। পাশাপাশি খাঁচা ও পানির পাত্র দিনে কয়েকবার জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

সবচেয়ে ভালো হয় যদি প্রাণীদের খাবার হিসেবে দেয়া পশুগুলোকে জীবিত অবস্থায় পরীক্ষা করে তা সরবরাহ করা হয়। পরিবেশে যুক্ত সবকিছুই জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম