বুধবারের ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
করোনা মহামারীর দুর্যোগকাল চলছে। বলবৎ আছে সাধারণ ছুটিও। এই অবস্থার মধ্যেই চলছে ঈদের কেনাকাটা। বড় বড় অনেক শপিংমল বন্ধ থাকলেও কিছু মার্কেট ও দোকানপাট খোলা রয়েছে। আর তাতেই ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়েছেন নগরবাসী। শুধু ব্যস্ততা নয়, অনেক জায়গায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। তবে এর মধ্যে কোথাও কোথাও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে, আবার কোথাও কোথাও হচ্ছে না।
মিরপুর এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মিরপুর এক থেকে দশ নম্বর পর্যন্ত পুরো এলাকায় সবগুলো ফ্যাশন হাউসই খুলে যায় বেলা ১১টা মধ্যে। স্টেপ ওয়ান, গ্রামীণ সম্ভার, ইজি, দর্জিবাড়ি, চন্দ্রবিন্দু, রঙজয়ী, কান্ট্রিবয়, বৈশাখী, জেন্টল পার্ক, মেন্স ওয়ার্ল্ড, শ্রাবণ, রিচম্যান, ইনফিনিটি, পল্লী, দেশজ, সারা, নবরূপা, গ্রামীণ মেলা, অঞ্জনস সব ফ্যাশন হাউসগুলোই ঈদের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছে। খোলা আছে মিরপুর নিউমার্কেটও। দিনের শুরু থেকে নিয়ে বিকাল পর্যন্ত টুকটাক বিক্রিও হয়েছে।
অনেক ফ্যাশন হাউসে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজিংয়ের ব্যবস্থা করতে দেখা যায়। পল্লবী থেকে মাসুদুল হক তার স্ত্রীকে নিয়ে শপিং করতে এসেছিলেন মিরপুরের ইনফিনিটিতে। এই অবস্থার মধ্যেও ঈদ কেনাকাটার প্রসঙ্গ টানতেই বললেন, আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কিছু বিষয় সামনে চলে আসে যা এড়ানোও যায় না। আমার বিয়ের পর এটা প্রথম ঈদ। তাই কিছু ঈদ গিফট দিতেই হবে। আর সে জন্যেই কেনাকাটা করতেই হচ্ছে।
বৈশাখী ফ্যাশন হাউসের ম্যানেজার আকরাম হোসেন বলেন, বেচাকেনা খুব যে ভালো তা বলা যাবে না। তবে টুকটুক বিক্রি হচ্ছে। আমাদের চলার মতো কিছু রোজগার তো হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, নিউমার্কেট বন্ধ থাকলেও তার উল্টোদিকে গাউসিয়া ও চাঁদনিচক মার্কেট খোলা রয়েছে। শুধু তাই সেখানে কেনাকাটাও চলছে বেশ।
এদিকে রাজধানীর এলিফেন্ট রোড ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানপাট ও ফ্যাশন হাউসগুলো খোলা। সেখানেও টুকটাক বেচাকেনা চলছে। শুধু পোশাকের দোকানই নয়, জুতো, কসমেটিকসের দোকানগুলোতেও বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হতে দেখা গেছে।
