জনগণের পাশে থাকছেন তাই আ’লীগ নেতাকর্মীরা বেশি আক্রান্ত
সাংস্কৃতিক রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই সংকটকলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে থাকছেন। তাদের সুখ-দুঃখ দেখছেন। তাই তারা করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সদ্যপ্রয়াত নেতাদের আত্মার শান্তি ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের নেতাকর্মী, মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদ সদস্যরা, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা জনগণকে সুরক্ষা দেয়া ও সহায়তা করার জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। যে কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ বহু নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর আক্রান্ত হয়ে বরেণ্য নেতা মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ, সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মূল কারণ হচ্ছে তারা জনগণের পাশে থেকে কাজ করছিলেন এবং তা করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
‘বিএনপি নেতাদের করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে না’- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ আক্রান্ত হোক, সেটি আমরা কখনও কামনা করি না। বিএনপি নেতারা সবাই সুস্থ থাকুন, সব মানুষ সুস্থ থাকুক সেটিই আমরা কামনা করি। সেই সঙ্গে এটিও সত্য যে, যারাই জনগণের পাশে থেকে কাজ করছেন, তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন ও তাদেরই আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি। অপরদিকে বিএনপি নেতারা যারা হাত গুটিয়ে বসে আছেন, ঘরের মধ্যে থেকে প্রেস ব্রিফিং আর কিছু ফটোসেশনের মধ্যে কাজকর্ম সীমাবদ্ধ রেখেছেন, জনগণের পাশে দাঁড়াননি, তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে আমি সবসময় প্রার্থনা করি বিএনপি নেতারা সবাই সুস্থ থাকুন।
‘দেশে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে’- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যতটুকু আছে, সেটুকুকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রশাসনের প্রাণান্ত চেষ্টায় এখনও বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম মৃত্যুহারের দেশগুলোর একটি। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের সব উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। সুতরাং অর্বাচীনের মতো কথা না বলে তাদের উচিত জনগণের পাশে দাঁড়ানো।
এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ, সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানসহ দলের সদ্যপ্রয়াত নেতাদের আত্মার শান্তি ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের আরোগ্য প্রার্থনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের (ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি.এম মোজাম্মেল হক, এস.এম কামাল হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ অংশ নেন। মাহফিল শেষে আওয়ামী লীগ সভাতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশ ও বিশ্বকে করোনা থেকে মুক্তির জন্য মোনাজাত করা হয়।
