Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

বগুড়ায় যমুনার পানি বিপদসীমার উপরে

ভাঙনের মুখে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নদীতে রোববার সকালে পানি বিপদসীমার ছয় সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল

স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে হাটশেরপুর ইউনিয়নের চর দীঘাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, গত জুনের প্রথম থেকেই যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। ২৮ জুন পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে। এরপর ৪ জুলাই আবার কমতে শুরু করে, ৬ জুলাই বিপদসীমার নিচে নেমে যায় যমুনার পানি। পরে ৯ জুলাইয়ের পর ফের বাড়তে থাকে ও ১৩ জুলাই দ্বিতীয় দফায় বিপদসীমা অতিক্রম করে। টানা ২৫ দিন বন্যা হওয়ার পর ৭ আগস্ট যমুনার পানি বিপদসীমার নিচে নেমে যায়। ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আবারও বিপদসীমা অতিক্রম করে।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, রোববার সকাল ৬টায় যমুনা নদীতে পানি কমলেও বিপদসীমার ছয় সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে বাঙালি নদীর পানি অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরের গ্রামগুলোতে নতুন করে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। নিচু এলাকার ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

যমুনা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে, হাটশেরপুর ইউনিয়নের চর দীঘাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রোববার সকালে প্রবল স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তে বিদ্যালয় ভবনটির কিছু অংশ নদীতে বিলীন হয়েছে। যেকোনো সময় পুরো বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, ২০০৫ সালে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল স্কুল ভবন কাম ফ্লাট সেন্টার নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হবার খবর পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ইলিয়াস উদ্দিন, মোস্তফা কামাল ও প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয় ভবন নিলামে বিক্রির প্রস্তুতি চলছে।

যমুনা নদী তীরবর্তী দলিকার চর নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। ২-৩ দিনে চরের প্রায় আড়াইশ’ বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। চরে বসবাসকারী অন্তত ৩৫০ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে। এর আগে জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে বন্যায় সারিয়াকান্দি উপজেলায় নদীভাঙনে চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের সাতটি চর সম্পূর্ণ ও দুটি আংশিক বিলীন হয়েছে। চরগুলো হল- হাটবাড়ি, আউচারপাড়া, উত্তর শিমুলতাইড়, সুজনেরপাড়া, ধনার চর, কাকালিহাতা, খাবুলিয়ার চর, মানিকদাইড় চর ও পাকুরিয়ার চর।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, রোববার বিকালে পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা নেই।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম