Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আলজাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আলজাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আলজাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। হাইকোর্ট যদি এটি বন্ধ করার আদেশ দেন, সেক্ষেত্রে তা আমাদের মানতে হবে। চট্টগ্রাম নগরীর বাসায় সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে শুক্রবার সন্ধ্যায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্য মন্ত্রণালয়কে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী আলজাজিরার রিপোর্টটা ইউটিউব ও অন্যান্য চ্যানেল থেকে সরাচ্ছেন না কেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাইলে আলজাজিরার সম্প্রচার আমাদের দেশে বন্ধ করতে পারতাম। অনেক দেশে বন্ধ করা হয়েছে। এমনকি ভারতেও কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল। এখনও ৬-৭টি দেশে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তাই আমরা সেই উদ্যোগ নিইনি। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার যেমন দরকার, দায়িত্বশীলতারও প্রয়োজন আছে। কিন্তু স্বাধীনতা মানে এই নয়-ভুল, মিথ্যা, পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অপরের স্বাধীনতা হরণকারী সংবাদ পরিবেশন করা। আলজাজিরার রিপোর্টটি মিথ্যা বানোয়াট, কিছু কাট পেস্ট করে প্রকাশ করা হয়েছে।

এটি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের ভূমিকা আসলে কী ছিল সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে তিনি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার খেতাব বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। এটা নিয়ে জামুকাতে আলোচনা হয়েছে মাত্র। বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি তো বিরোধী দল। তারা বিক্ষোভ করতেই পারে।

কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনসহ অন্যান্য যেসব ইস্যুতে তারা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তা হাস্যকর। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কিংবা পার্শ্ববর্তী দেশে যে ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় সেই নিরিখে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও কার্যত মাঠে ছিল না। ভোটের দিন তাদের কাউকে দেখা যায়নি। তথ্যমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব কি চট্টগ্রাম এসেছিলেন? তিনি কি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন? একটা মিটিং করেছেন? অথচ তাদের তো প্রচারণা চালাতে কোনো অসুবিধা ছিল না।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের নানা বাধ্যবাধকতার কারণে আমাদের দলের এমপি ও মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ছিল। মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের দলের নেতারা যারা প্রতিদিন নয়াপল্টনে কথা বলেন, তাদের তো কোনো সমস্যা ছিল না। তারা কিন্তু আসেননি। এটি তাদের ব্যর্থতা ও দলীয় দুর্বলতা। এ কারণেই এ শহরে তারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে।

হাইকোর্ট

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম