Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

ইবির ভবন নির্মাণ

প্রকল্পে পুনঃদরপত্র ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রিট

Icon

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দশতলা দুটি ভবন নির্মাণ প্রকল্পের পুনরায় দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রথম দরপত্র আহ্বান করার পর কাজের অনুমতি না দিয়ে দীর্ঘ এক বছর পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এ ঘটনায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে রিট করেছে। তবে শর্ত পূরণ করে দরপত্রে একাধিক প্রতিযোগী না থাকায় এবং পূর্বের তুলনায় মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে বুধবার জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম।

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের পিডব্লিউ রেট অনুযায়ী প্রথম দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালের নতুন রেট চূড়ান্ত হয়েছে। ফলে সবকিছুর বাজার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া এই কাজের জন্য টেন্ডার জমা দেওয়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। শেষ দুজনের মধ্যে একজনের কাগজে সমস্যা থাকায় আর একটি প্রতিষ্ঠান বাকি থাকে। ফলে এখানে টিপিআরের নিয়ম অনুযায়ী কাজের প্রতিযোগিতা থাকে না। যেহেতু আমরা এখনও কাজ সম্পন্ন করার সময় পাব তাই রি-টেন্ডারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’ পুনঃটেন্ডারের সিদ্ধান্তে প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ‘এম/এস রহমান ট্রেডার্স’ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে গত বুধবার দরপত্র জমাদানকারী দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড’ হাইকোর্টে দুটি রিট পিটিশন দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত রিট পিটিশন নম্বর দুটি হচ্ছে- ১৭৮৭ ও ১৭৮৮।

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, কাজ পেতে সব শর্ত পূরণ করেছিল তারা। তবুও কাজ না দিয়ে পুনঃটেন্ডার করায় এ রিট করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদ মুরাদ বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, সাবেক ও বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী এবং পরিকল্পনা পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ রিট দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার বরাবর উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আতাউর রহমান নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ভবনের মধ্যে একটি ছাত্র হল ও অন্যটি ছাত্রী হল। প্রত্যেকটি ভবন নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৫৩ কোটি টাকা করে। ভবন দুটির টেন্ডার আহ্বান করা হয় গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি। এক্ষেত্রে কাজ পেতে যোগ্যতা হিসেবে- ন্যূনতম ৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা, ৩০ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন করা এবং এর আগে আটতলা ভবন নির্মাণের অভিজ্ঞতার শর্ত দেওয়া হয়। এতে ১০টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। একই বছর ১৩ ও ১৪ মে দরপত্র খোলে কর্তৃপক্ষ। ওই টেন্ডারে সর্বনিম্ন মূল্যে কাজ করতে এমএস রহমান ট্রেডার্স ও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মূল্যে কাজ করতে ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড দরপত্র জমা দেয়। তবে এম/এস রহমান ট্রেডার্সসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান শর্ত পূরণ করতে না পারা এবং বাকিদের টেন্ডার প্রত্যাহার করলে শেষ পর্যন্ত ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং বাকি ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি নোটিশ পেয়েছি, তবে কোনো নির্দেশনা পাইনি। কোর্ট কোনো নির্দেশনা দিলে তা পালন করব। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। তবে একটি উকিল নোটিশ পেয়েছি। ক্যাম্পাসে এসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম