বাংলাদেশ বেতার স্বকীয়তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে
-বেতার মহাপরিচালক
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অবাধ তথ্যপ্রবাহের এই সময়ে বাংলাদেশ বেতার তার অতীত ঐতিহ্য, স্বকীয়তা এবং বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বেতার শ্রোতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামান। আজ বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষ্যে যুগান্তরের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শনের সঙ্গে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ বেতার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশ বেতারে কাজ করে আমরা গর্ব অনুভব করছি। বাংলাদেশ বেতার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। এর মধ্যে বিবিসি, চায়না মিড়িয়া গ্রুপ, এনএইচকে জাপান অন্যতম।
তিনি বলেন, বিশ্ব বেতার দিবস ২০২১ আমাদের মাঝে এমন সময় এসেছে যখন আমরা উদ্যাপন করছি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী। বাংলাদেশের ইতিহাস এবং জাতির পিতার কর্মময় জীবন সম্পর্কে দেশের জনগণকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য বাংলাদেশ বেতার থেকে মুজিববর্ষে অনেক অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধুর জীবনকর্ম ও বাংলাদেশ নিয়ে অনুষ্ঠান, শতবর্ষে পিতা: কারাগারের রোজনামচা এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে ধারাবাহিক পাঠ, বিশ্ব নেতৃত্বের চোখে বঙ্গবন্ধু: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিশ্ব নেতৃত্বের ভাবনা নিয়ে গ্রন্থিত অনুষ্ঠান, আমাদের বঙ্গবন্ধু: বিভিন্ন জেলায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত নানা ঘটনা ও স্থান নিয়ে প্রামাণ্য অনুষ্ঠান। জনতার বঙ্গবন্ধু: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জনসাধারণের ভাবনা শীর্ষক প্রামাণ্য অনুষ্ঠান, মহানায়কের কাব্যগাথা: বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে ফোন ইন অনুষ্ঠান, তরুণ প্রজন্মের চোখে বঙ্গবন্ধু: কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনুষ্ঠান, আমাদের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান।
তিনি বলেন, ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব বেতার দিবস ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো উদ্যাপন করা হয়। আজ সারা বিশ্বে ১০ম বারের মতো দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে। এ বছর বিশ্ব বেতার দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘নতুন বিশ্ব, নতুন বেতার’।
তিনি বলেন, বিশ্ব বেতার দিবস ২০২১-এ ইউনেস্কো ঘোষিত প্রতিপাদ্য যথার্থ ও প্রাসঙ্গিক। একটা সময় ছিল যখন বিনোদন এবং সংবাদের জন্য একটিমাত্র মাধ্যম ছিল বেতার। স্যাটেলাইট ও সাবমেরিন ক্যাবলের যুগে বিনোদন ও সংবাদমাধ্যমের সংখ্যা অনেক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সংখ্যাও কম নয়। তারপরও বেতার টিকে আছে। পরিবর্তন এসেছে প্রযুক্তিতে। আগে মধ্যম তরঙ্গ ও ক্ষুদ্র তরঙ্গ ছিল। দুই দশক হলো এফএম ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে। এইচডি (হাইব্রিড ডিজিটাল) প্রযুক্তিতে আমরা ঢাকায় অনুষ্ঠান প্রচার করছি। ইন্টারনেটে বাংলাদেশ বেতারের ৭টি কেন্দ্রের ১৬টি চ্যানেল ২৪ ঘণ্টা প্রচার করা হচ্ছে। মোবাইল অ্যাপেও এই ১৬টি চ্যানেল পাওয়া যাচ্ছে।
