বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের কোনো গণভিত্তি নেই। ভোটারবিহীন এই সরকার জুলুম-নির্যাতন ও সন্ত্রাসের ওপর নির্ভরশীল। জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে তারা বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছে। আর ভয়ংকর ক্রুদ্ধতার বিষাক্ত ছোবল গিয়ে পড়ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর। সেজন্যই দেশে আইনের শাসনের বদলে আওয়ামী শাসনের এক বীভৎস বিকৃত রূপ তীব্র আকার ধারণ করেছে। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কল্পকাহিনি সাজিয়ে উদ্ভট মামলা দায়ের ন্যক্কারজনক কাজ। অবিলম্বে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করুন।

মির্জা ফখরুল বলেন, অপরিকল্পিত লকডাউনে বিরোধী দলের ওপর ক্র্যাকডাউনের ধারাবাহিকতায় সারা দেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা হচ্ছে। এর অংশ হিসাবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এবং হাটহাজারী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস শুক্কুর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সৈয়দ ইকবাল, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, উত্তর জেলা যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, হাটহাজারী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মির্জা এমদাদ, সদস্যসচিব নুরুল কবির তালুকদার, হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি, সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিনসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মীর নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ততা না-থাকলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে দমন ও জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে সরাতেই সরকার নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, রোজা ও করোনার মধ্যেও হরহামেশা নেতাকর্মীদের বাড়িতে গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে পুলিশ। নেতাকর্মীদের না-পেয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের থানায় ডেকে নিয়ে হুমকি ও চাপ দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এমনকি জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপ-উদ্দেশ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সিনিয়র নেতাদের জড়িয়ে কল্পকাহিনি তৈরির মাধ্যমে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে তা প্রচার করা হচ্ছে। সরকারকে এ ধরণের হীন অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।

মির্জা ফখরুল বলেন, সমাজে কারও কোনো সম্মান, নিরাপত্তা ও জীবন-যাপনের স্বাভাবিকতা নেই। তাই সরকারের উন্মত্ত আচরণ মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক শক্তিকে এগিয়ে আসার বিকল্প নেই।