Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

চাচা-ভাতিজার উদরপূর্তির লড়াই

Icon

তন্ময় তপু, বরিশাল

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চাচা-ভাতিজার উদরপূর্তির লড়াই

ছবি: যুগান্তর

কোনো বিয়ে বা অনুষ্ঠান বাড়ির আয়োজন নয়। সবাই অধীর আগ্রহে বসে আছেন খিচুড়ি খাওয়ার জন্য। আর বেশি খেতে পারলেই মিলবে পুরস্কার। বরিশাল নগরীর ভাটিখানা শরীফ বাড়ির গলিতে শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ অভিনব ভোজন প্রতিযোগিতা। রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয় তুমুল লড়াই। কে কার চেয়ে বেশি খিচুড়ি আর গরুর মাংস খেতে পারে। ব্যক্তি উদ্যোগে ভিন্ন স্বাদের আনন্দ দিতে স্থানীয় টুলু শরীফ গত কয়েক বছর ধরে এলাকাবাসীকে নিয়ে এ আয়োজন করে আসছেন।

তিনি জানান, ভোজন প্রতিযোগিতায় চাচা ও ভাতিজা নাম দিয়ে দুটি দল করা হয়। দুই দলে ২০ জন করে ৪০ জন অংশ নেন। দুদলের জন্য দুই মন খিচুড়ি ও ৩০ কেজি গরুর মাংস রান্না করা হয়। যে দল বেশি খেতে পারবে তাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার।

অংশগ্রহণকারী খাদকদের কারও বয়স ১৮, কারও আবার ৬০। তবে তাদের কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দেখে বোঝার উপায় নেই কার বয়স কত। যদিও যতটা না খাওয়া তার চেয়ে আনন্দে মেতে ওঠার জন্যই এতে অংশ নেওয়া বলে জানান ভোজনকারীরা।

প্রতিযোগিতায় ৩৮ কেজি খিচুড়ি আর ১৫ কেজি গরুর মাংস হজম করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভাতিজা দল। আর চাচা দল ৩২ কেজি পর্যন্ত সাবাড় করতে পেরেছে। হয়েছে রানার্স আপ। খেতে পেরে দুপক্ষেরই আনন্দের সীমা নেই।

একটা সময় গ্রামগঞ্জে বিনোদনমূলক নানা ধরনের আয়োজন হতো। তবে দৈনন্দিন যান্ত্রিকতা, করোনা আর সামাজিক মাধ্যম মানুষকে অনেকটাই একঘরে করেছে। সেখানে স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে এ ধরনের আয়োজন মানুষে মানুষে বন্ধন আরও মজবুত করবে বলে আশা ভোজনরসিক দর্শনার্থী এবং বিশেষ অতিথিদের।

উদরপূর্তির প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বরিশালের সুপার আতিকুল ইসলাম। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় ভোজন প্রতিযোগিতার এ ব্যতিক্রমী আয়োজন।

ভাতিজা দলের সদস্য মো. শামীম বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে এবারে আমরা চাচাদের হারিয়ে জিতেছি। জয়টা বড় বিষয় নয়, এতদিন পর একত্রিত হতে পেরেছি সেটাই আমাদের কাছে মুখ্য।

চাচা দলের সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, গতবার তো আমরা চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। এবার ভাতিজারা হয়েছে। ভালো লাগছে সবার সঙ্গে দেখা হওয়াতে। খাওয়া শেষ করার অনেক চেষ্টা করছি। এবার আর তাদের সঙ্গে পারিনি।

বরিশাল হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ বিশু বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন এসব আয়োজন সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ খিচুড়ি খাওয়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন সত্যিই আনন্দ দিয়েছে আমাদের। প্রতিযোগিতা ঘিরে বসেছিল এলাকাবাসীর বিশাল মিলনমেলা।

চাচা-ভাতিজা উদরপূর্তি লড়াই

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম