Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

জুনে ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধন

বরিশাল থেকে খুলনা ২ ঘণ্টায়

Icon

তন্ময় তপু, বরিশাল

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল অঞ্চলে ভোগান্তির আরেক নাম বেকুটিয়া ফেরি। এতে উঠতে না পারলেই অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টারও বেশি সময়। তবে এই ভোগান্তির দিন শেষ পর্যায়ে। পিরোজপুরের বেকুটিয়ায় নির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এই সেতু উদ্বোধন হলে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে আর ভোগান্তি থাকবে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না ফেরিঘাটে।

জানা যায়, ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের এই সেতুতে ৯টি স্প্যান ও ১০টি পিলার বসানো হয়েছে। নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা গ্রান্ড অনুদান দিয়েছে চীন সরকার। বাকি ২৪৪ কোটি টাকার জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ৪২৯ মিটার ভায়াডাক্টসহ সেতুর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৪২৭ মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার (ডবল লেন)।

সেতু উদ্বোধনের পর গাড়ি চলাচল শুরু হলে এখন বরিশাল থেকে খুলনা যেতে যে সময় লাগছে তা অনেক কমে যাবে। যাত্রী ভোগান্তি কমবে অনেক।

বরিশালের রূপাতলী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, বাসে বরিশাল থেকে খুলনা যেতে এখন প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু বেকুটিয়ার সেতু চালু হলে সময় লাগবে মাত্র দুই ঘণ্টা। এখন বরিশাল থেকে পিরোজপুর যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। সেতু উদ্বোধন হলে দেড় ঘণ্টা সময়ও লাগবে না। বাসে বরিশাল থেকে বেকুটিয়া যেতে সময় লাগে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট। সেখানে গিয়ে ফেরির অপেক্ষায় বসে থাকতে হয়। যে কারণে ভোগান্তি যাত্রীদের। সেতু উদ্বোধন হলে কোথাও দাঁড়াতে হবে না টোলঘর ছাড়া। তাই সময় লাগবে অনেক কম।

শিপন বলেন, খুলনা অঞ্চলের মানুষ সাগরকন্যা কুয়াকাটায় লোকাল বাসে যেতে পারবে ৫ ঘণ্টায়। তবে রিজার্ভ করা গাড়িতে যেতে সময় লাগবে সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা।

বরিশাল-খুলনা রুটে তাহমিদ পরিবহণের চালক মো. হুমায়ুন বলেন, ফেরির কারণে এই পথে যে কি ভোগান্তি তা বলে বুঝানো সম্ভব হয় না। রাতে পিরোজপুর থেকে কোনো অসুস্থ রোগীকে বরিশাল নিতে কি যে ভোগান্তি। তাছাড়া রাতে ফেরি টাকা ছাড়া ছাড়ে না। গাড়িপ্রতি এক থেকে তিন হাজার টাকা করে আদায় করা হয়, যা শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষ নির্যাতন থেকে বাঁচবে।

বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, যাত্রীদের পাশাপাশি বাস মালিক ও চালকদেরও ভোগান্তি সহ্য করতে হয়। সেতু চালু হলে বরিশাল থেকে খুলনায় যেতে বাসে দুই ঘণ্টাও লাগবে না। অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও বরিশাল সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম মাহমুদ সুমন বলেন, ‘সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। জুনেই উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।’ প্রসঙ্গত, জিটুজি পদ্ধতিতে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় চীনের ‘চায়না রেলওয়ে সেভেনটিন ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড’। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম