Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

ছেলের সন্ধান চেয়ে কাঁদলেন মা

ইতালিতে ৩ হাজার বাংলাদেশির কোটা সংরক্ষিত আছে: ইতালির রাষ্ট্রদূত

Icon

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য তিন হাজার মানুষের কোটা সংরক্ষিত রয়েছে। এ সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। বাংলাদেশ ও ইতালির সরকার একটি চুক্তির ওপর কাজ করছে। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশের শ্রমিকরা কাজের জন্য ইতালি যেতে পারবেন। মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসনে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় তিনি শুক্রবার এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে তিনি সম্মানিত অতিথি ছিলেন।

ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপজ্জনক পথে ইতালি গমন সবার জন্য উদ্বেগের। তাই মানবিক কারণে শ্রম অভিবাসীদের প্রতারণা ও নির্যাতন থেকে বাঁচাতে জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। ভূমধ্যসাগর এবং উত্তর-পশ্চিম আটলান্টিক সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে গত বছর ৩ হাজার ২৩১ জন মারা গেছে। ২০২২ সালে ২৮ হাজার ৪০৫ জন অনিয়মিত অভিবাসীর তালিকা হয়েছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০২১-২২ সালে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার ৬০০ শ্রমিক ইতালিতে ভিসা পেয়েছেন। বৈধভাবে যাওয়া বাংলাদেশিদের আরও সুযোগ তৈরি করতে কাজ করছে ইতালি সরকার। দক্ষ শ্রমিক তৈরির জন্য বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।

মতবিনিময়ের সময় তিন বছর ধরে নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নাছিমা বেগম। তার ছেলে কামাল মুন্সি (২৮) দালালের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। নড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ লোনসিং গ্রামের মৃত ফজলুল হক মুন্সির স্ত্রী নাছিমা বলেন, আমার ছেলে দালালের মাধ্যমে লিবিয়ার বেনগাজী হয়ে ত্রিপলি যান। সেখান থেকে ফোন করে বলে, মা, আমি খুব কষ্টে আছি। তুমি টাকা পাঠাও। স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় সহায়-সম্পদ বিক্রি করে ৩-৪ বার প্রায় ১৪ লাখ টাকা পাঠিয়েছি। কামাল ২০২০ সালের ২৯ জুন সর্বশেষ ফোন দেয়। এরপর আর তার কোনো খবর নেই। আমার মতো এমন অনেকেই দালালদের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান।

 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম