করোনা টিকা গ্রহণে আগ্রহ কমায় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা
দেশে করোনা মোকাবিলায় এক বছরের বেশি সময় চলা ভ্যাকিসন কর্মসূচির শেষদিকে এসে জনসাধারণের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবণতা কমেছে। এর মধ্যে সরকার ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে চার দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইনের পর ৩ অক্টোবর থেকে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ বলা হচ্ছে, এই টিকার মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। জানা যায়, সরকারের হাতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টিকা মজুত আছে। কিন্তু মানুষ এখন যে হারে নিচ্ছে তাতে অসংখ্য টিকা মেয়াদোত্তীর্ণ তথা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ১৮ সেপ্টম্বর পর্যন্ত ১৩ কোটি ১১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৪ জন প্রথম ডোজ, ১২ কোটি ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭৭৬ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৪ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ৯১৬ জন তৃতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন। দেশে করোনা প্রতিরোধে এ পর্যন্ত ৩২ কোটি ৩১ লাখ ৯ লাখ ৫০০ ডোজ টিকা আমদানি করা হয়েছে। চারটি উৎস থেকে টিকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বড় অংশ কেনা। কিছু টিকা উপহার এবং বাকিগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় অনুদান হিসাবে পাওয়া গেছে।
এদিকে গত শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, এখনো প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ এবং ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নেননি। অর্থাৎ বুস্টার ছাড়া প্রথম ডোজের অপেক্ষায় থাকা ৩৩ লাখ জনগোষ্ঠীর দুই ডোজ হিসাবে ৬৬ লাখ ডোজ দিতে হবে। আর দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষাধীন ৯৪ লাখসহ মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দিতে হবে। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ৩ অক্টোবরের পর প্রথম ডোজ বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি টিকার মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ শেষ হলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও কষ্ট হয়ে যাবে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নেননি, তাদের দ্রুত সময়ে টিকা দিতে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয়ে ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। তবে দেশে এই মুহূর্তে প্রথম, দ্বিতীয় ডোজের কত টিকা মজুত রয়েছে, মেয়াদোর্ত্তীণের আগে কত ডোজ টিকাপ্রদান সম্ভব, নষ্ট এড়াতে কী পরিকল্পনা রয়েছে-এ সম্পর্কে জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। একইভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত পরিচালক আহমেদুল কবিরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোশতাক হোসেন যুগান্তরকে বলেন, দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগে সফলতা এলেও এখনো অনেকে টিকার বাইরে। বুস্টার ডোজ প্রয়োগেও পিছিয়ে রয়েছে। ১৯ জুলাই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একদিনে ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বুস্টার ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সময় সংক্রমণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে না থাকায় তেমন সাড়া মেলেনি। কেন্দ্রগুলোয় টিকাগ্রহীতার উপস্থিতি ছিল কম। এখন স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, প্রথম-দ্বিতীয় ডোজের টিকা মেয়াদোর্ত্তীণের পথে। কাজেই মজুত থাকলেও তা দেওয়া যাবে না। আসন্ন কর্মসূচিতে বাদ পড়াদের দিতে না পারলে সংকটের মুখে পড়বে। সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী দেখা যাচ্ছে। এজন্য বাদ পড়াদের খুঁজে বের করে টিকা দিতে হবে।
জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল যুগান্তরকে বলেন, করোনা টিকাদানের শুরু থেকেই মাঠ পর্যায়ে স্থানীয় সরকার, জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের ঘাটতি ছিল। সব সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়। মাঠপর্যায়ে বা স্থানীয়ভাবে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। অথচ কোনো উপজেলা, জেলায় কতজন টিকার বাইরে, সেটি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বলতে পারবে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তাদের দায়িত্ব দেওয়া গেলে কেউ টিকার বাইরে থাকতেন না। জাতীয় কার্যক্রম হলেও মানুষকে সম্পৃক্ত করার বিষয়টিতে কখনো গুরুত্ব পায়নি বলে এমনটা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, কিছু দেশ চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। যাদের তিন ডোজ সম্পন্নের সময় প্রায় বছর পেরিয়ে গেছে, তাদের মধ্যে কোমরবিডিটিতে ভোগা ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ দিতে পারলে আজ মজুত টিকা নষ্টের আশঙ্কা থাকত না। কেন্দ্রীয় পর্যায়ের পরিকল্পনার ঘাটতি থাকায় এমনটা হয়েছে। কত ডোজ মজুত রয়েছে, জনগণ দ্রুত সময়ে না নিলে পরবর্তী সময়ে পাওয়া যাবে না-ব্যাপারটি আরও আগে জানালে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়ত। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতি ছিল।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম করোনা টিকাদান শুরু হয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ব্যাপক ভিত্তিতে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না, সিনোভ্যাক ও জনসনের টিকা।
করোনা টিকা গ্রহণে আগ্রহ কমায় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা
জাহিদ হাসান
২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দেশে করোনা মোকাবিলায় এক বছরের বেশি সময় চলা ভ্যাকিসন কর্মসূচির শেষদিকে এসে জনসাধারণের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবণতা কমেছে। এর মধ্যে সরকার ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে চার দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইনের পর ৩ অক্টোবর থেকে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ বলা হচ্ছে, এই টিকার মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। জানা যায়, সরকারের হাতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টিকা মজুত আছে। কিন্তু মানুষ এখন যে হারে নিচ্ছে তাতে অসংখ্য টিকা মেয়াদোত্তীর্ণ তথা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ১৮ সেপ্টম্বর পর্যন্ত ১৩ কোটি ১১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৪ জন প্রথম ডোজ, ১২ কোটি ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭৭৬ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৪ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ৯১৬ জন তৃতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন। দেশে করোনা প্রতিরোধে এ পর্যন্ত ৩২ কোটি ৩১ লাখ ৯ লাখ ৫০০ ডোজ টিকা আমদানি করা হয়েছে। চারটি উৎস থেকে টিকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বড় অংশ কেনা। কিছু টিকা উপহার এবং বাকিগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় অনুদান হিসাবে পাওয়া গেছে।
এদিকে গত শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, এখনো প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ এবং ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নেননি। অর্থাৎ বুস্টার ছাড়া প্রথম ডোজের অপেক্ষায় থাকা ৩৩ লাখ জনগোষ্ঠীর দুই ডোজ হিসাবে ৬৬ লাখ ডোজ দিতে হবে। আর দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষাধীন ৯৪ লাখসহ মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দিতে হবে। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ৩ অক্টোবরের পর প্রথম ডোজ বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি টিকার মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ শেষ হলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও কষ্ট হয়ে যাবে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নেননি, তাদের দ্রুত সময়ে টিকা দিতে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয়ে ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। তবে দেশে এই মুহূর্তে প্রথম, দ্বিতীয় ডোজের কত টিকা মজুত রয়েছে, মেয়াদোর্ত্তীণের আগে কত ডোজ টিকাপ্রদান সম্ভব, নষ্ট এড়াতে কী পরিকল্পনা রয়েছে-এ সম্পর্কে জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। একইভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত পরিচালক আহমেদুল কবিরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোশতাক হোসেন যুগান্তরকে বলেন, দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগে সফলতা এলেও এখনো অনেকে টিকার বাইরে। বুস্টার ডোজ প্রয়োগেও পিছিয়ে রয়েছে। ১৯ জুলাই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একদিনে ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বুস্টার ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সময় সংক্রমণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে না থাকায় তেমন সাড়া মেলেনি। কেন্দ্রগুলোয় টিকাগ্রহীতার উপস্থিতি ছিল কম। এখন স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, প্রথম-দ্বিতীয় ডোজের টিকা মেয়াদোর্ত্তীণের পথে। কাজেই মজুত থাকলেও তা দেওয়া যাবে না। আসন্ন কর্মসূচিতে বাদ পড়াদের দিতে না পারলে সংকটের মুখে পড়বে। সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী দেখা যাচ্ছে। এজন্য বাদ পড়াদের খুঁজে বের করে টিকা দিতে হবে।
জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল যুগান্তরকে বলেন, করোনা টিকাদানের শুরু থেকেই মাঠ পর্যায়ে স্থানীয় সরকার, জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের ঘাটতি ছিল। সব সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়। মাঠপর্যায়ে বা স্থানীয়ভাবে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। অথচ কোনো উপজেলা, জেলায় কতজন টিকার বাইরে, সেটি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বলতে পারবে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তাদের দায়িত্ব দেওয়া গেলে কেউ টিকার বাইরে থাকতেন না। জাতীয় কার্যক্রম হলেও মানুষকে সম্পৃক্ত করার বিষয়টিতে কখনো গুরুত্ব পায়নি বলে এমনটা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, কিছু দেশ চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। যাদের তিন ডোজ সম্পন্নের সময় প্রায় বছর পেরিয়ে গেছে, তাদের মধ্যে কোমরবিডিটিতে ভোগা ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ দিতে পারলে আজ মজুত টিকা নষ্টের আশঙ্কা থাকত না। কেন্দ্রীয় পর্যায়ের পরিকল্পনার ঘাটতি থাকায় এমনটা হয়েছে। কত ডোজ মজুত রয়েছে, জনগণ দ্রুত সময়ে না নিলে পরবর্তী সময়ে পাওয়া যাবে না-ব্যাপারটি আরও আগে জানালে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়ত। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতি ছিল।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম করোনা টিকাদান শুরু হয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ব্যাপক ভিত্তিতে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না, সিনোভ্যাক ও জনসনের টিকা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023