দায়ীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
৩৭০০ কোটি টাকা লুটে পাঁচ ডেপুটি গভর্নরের নাম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশের আর্থিক খাতের ৩৭০০ কোটি টাকা ‘লুটপাটে’ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পাঁচ ডেপুটি গভর্নরসহ জড়িতদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, ‘কী পদক্ষেপ নিয়েছে, দেখান। যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে? তদন্ত হচ্ছে কিনা, জানান। চিঠি লিখে আপনারা বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেন।’
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সকালে আদালত বসার পর ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিচারকরা। পরে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেন। শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতকে বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়টি আমি দুদককে অবহিত করেছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসছে।’ এরপর আদালত আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা ২৭ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে আদালত দুদককে বলেছেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালতে আমরা বলেছি, হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চের নির্দেশে এই প্রতিবেদন (যার কথা পত্রিকায় লেখা হয়েছে) প্রস্তুত করা হলেও সেটি একটি কোম্পানি কোর্ট। আর এখানে দুর্নীতির বিষয় থাকায় এই কোর্টের এই বিষয়টি দেখার বিষয় আছে।’
গত ১৭ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটে দায়ী পাঁচ ডেপুটি গভর্নর’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি) ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডে (আইএলএফএসএল) আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পাঁচ ডেপুটি গভর্নরসহ ২৪৯ কর্মকর্তার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিনটি বিভাগের এই কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুট করেছেন আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) এবং মেজর (অব.) মান্নান। নজিরবিহীন এই অনিয়মের কারণ ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির আলাদা তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মোট ১২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দুটি এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
