সমুদ্র তলদেশের ৮০ ভাগের বেশি প্লাস্টিকের দখলে
কক্সবাজারে মানববন্ধন
প্রতি বছর মারা যায় ১ লাখ সামুদ্রিক প্রাণী
কক্সবাজার প্রতিনিধি
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা শিবিরে প্রতিদিন টন টন প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। প্লাস্টিকের কারণে প্রতি বছর মারা যায় এক লাখ সামুদ্রিক প্রাণী। প্লাস্টিক দ্রব্য পচতে প্রায় ৭০ বছর সময় লাগে। সমুদ্র তলদেশের ৮০ শতাংশের বেশি দখল করে আছে এ প্লাস্টিক। জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হলে সব ধরনের প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শনিবার দুপুরে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও কক্সবাজার সিভিল সোসাইটি এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ)। বক্তারা বলেন, কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালী পলিথিনে ভরপুর। পৌর এলাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। সারা দেশ যেন আবর্জনার ভাগাড়। সরকার প্লাস্টিকবিরোধী আইন করেছে। কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন নেই। পলিথিন কারখানাগুলো অবৈধভাবে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অবিলম্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সরকারের প্রণীত আইন বাস্তবায়ন করা হোক। এজন্য সব মহলের সদিচ্ছা থাকা দরকার। কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ও সিসিএনএফের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও মিজানুর রহমান বাহাদুরের যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সিসিএনএফের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও পালস-এর প্রধান নির্বাহী আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার জন্য চাই সরকারি আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন। কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের প্রধান ফিলিফ গ্রান্ডি এবং আইএসসিজির প্রধান সমন্বয়কারী অর্জুন জেইনকে আমরা সিসিএনএফের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে আহ্বান করেছি। আশা করি, তারা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। জাতিসংঘের যেসব প্রতিষ্ঠান, আইএনজিও, জাতীয় এবং স্থানীয় এনজিও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে আমরা তাদের পুরস্কৃত করব।
বাপা সভাপতি ও জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, প্লাস্টিক মাটির নিচে থাকলে বৃষ্টির পানি নিচে যেতে পারে না। সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি, কক্সবাজারের অধিকাংশ এলাকার পানি লবণাক্ত হয়ে গেছে। এ ভয়াবহতা থেকে জাতিকে বাঁচাতে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। মুক্তির প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার বলেন, বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, ২০৩০ সালের দিকে সাগরতলে মাছের চেয়েও প্লাস্টিক পাওয়া যাবে বেশি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কক্সবাজারে মানববন্ধন
সমুদ্র তলদেশের ৮০ ভাগের বেশি প্লাস্টিকের দখলে
প্রতি বছর মারা যায় ১ লাখ সামুদ্রিক প্রাণী
কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা শিবিরে প্রতিদিন টন টন প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। প্লাস্টিকের কারণে প্রতি বছর মারা যায় এক লাখ সামুদ্রিক প্রাণী। প্লাস্টিক দ্রব্য পচতে প্রায় ৭০ বছর সময় লাগে। সমুদ্র তলদেশের ৮০ শতাংশের বেশি দখল করে আছে এ প্লাস্টিক। জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হলে সব ধরনের প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শনিবার দুপুরে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও কক্সবাজার সিভিল সোসাইটি এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ)। বক্তারা বলেন, কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালী পলিথিনে ভরপুর। পৌর এলাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। সারা দেশ যেন আবর্জনার ভাগাড়। সরকার প্লাস্টিকবিরোধী আইন করেছে। কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন নেই। পলিথিন কারখানাগুলো অবৈধভাবে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অবিলম্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সরকারের প্রণীত আইন বাস্তবায়ন করা হোক। এজন্য সব মহলের সদিচ্ছা থাকা দরকার। কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ও সিসিএনএফের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও মিজানুর রহমান বাহাদুরের যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সিসিএনএফের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও পালস-এর প্রধান নির্বাহী আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার জন্য চাই সরকারি আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন। কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের প্রধান ফিলিফ গ্রান্ডি এবং আইএসসিজির প্রধান সমন্বয়কারী অর্জুন জেইনকে আমরা সিসিএনএফের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে আহ্বান করেছি। আশা করি, তারা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। জাতিসংঘের যেসব প্রতিষ্ঠান, আইএনজিও, জাতীয় এবং স্থানীয় এনজিও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে আমরা তাদের পুরস্কৃত করব।
বাপা সভাপতি ও জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, প্লাস্টিক মাটির নিচে থাকলে বৃষ্টির পানি নিচে যেতে পারে না। সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি, কক্সবাজারের অধিকাংশ এলাকার পানি লবণাক্ত হয়ে গেছে। এ ভয়াবহতা থেকে জাতিকে বাঁচাতে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। মুক্তির প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার বলেন, বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, ২০৩০ সালের দিকে সাগরতলে মাছের চেয়েও প্লাস্টিক পাওয়া যাবে বেশি।