জাতীয়করণের প্রাক্কালে নতুন ১৭ শিক্ষক কর্মচারীর নাম
jugantor
রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু কলেজ
জাতীয়করণের প্রাক্কালে নতুন ১৭ শিক্ষক কর্মচারীর নাম

  রাজশাহী ব্যুরো  

১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু কলেজটি জাতীয়করণ প্রক্রিয়াধীন। এ সুযোগে অবৈধ উপায়ে হঠাৎ গোপনে ১২ শিক্ষক এবং পাঁচ কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাতীয়করণের জন্য ৪ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি দল কলেজ পরিদর্শনে এলে বিষয়টি সামনে আসে। তবে কলেজের অধ্যক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, কলেজের শিক্ষকদের হাজিরা খাতা হারিয়ে গেছে। কলেজে বর্তমানে ঠিক কতজন শিক্ষক ও কর্মচারী আছেন, সেটা তিনি হিসাব করে বলতে পারবেন।

কলেজের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, গত বছর ১২ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধু কলেজ জাতীয়করণে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে কলেজে সব ধরনের নিয়োগ, পদোন্নতি এবং স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদ হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে শিক্ষা অধিদপ্তর। ৪ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের একটি অডিট কমিটি কলেজ পরিদর্শনে যায়। এ সময় হঠাৎ করেই শিক্ষক ও কর্মচারীদের (নন-এমপিও) হাজিরা খাতায় অন্তত ১২ জন নতুন শিক্ষক ও পাঁচজন কর্মচারীর নাম লক্ষ করেন শিক্ষকরা। এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক আপত্তি তোলেন। এ সময় অধ্যক্ষপন্থি শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানসহ দুপক্ষের ৫ শিক্ষক আহত হন। তবে কোনো পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি।

প্রতিবাদকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, কলেজটি সরকারীকরণ প্রক্রিয়ায় থাকায় অধ্যক্ষ কয়েকজন শিক্ষকের সহযোগিতায় গায়েবি নিয়োগ দেখিয়ে নতুন ১২ শিক্ষকের নাম তুলেছেন হাজিরা খাতায়। অথচ তালিকায় থাকা শিক্ষকরা কখনো কলেজে আসেননি। তাদের কেউ চেনেনও না। নতুন ৫ কর্মচারীকেও তারা চেনেন না। অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির এসব কারসাজি। কলেজ জাতীয়করণের সময় এসব গায়েবি শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরিও সরকারীকরণ হবে। কাগজপত্রে সরকারীকরণ হলে পরে কোনো অভিযোগই আর গ্রহণযোগ্য হবে না।

কলেজটি জাতীয়করণসংক্রান্ত নথিপত্র যাচাই করে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা প্রশাসনকে কলেজের কার্যক্রমের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলে। গত বছর জুলাইয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা কলেজটি পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে কলেজটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৯১ জন উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ শিক্ষকের সংখ্যা ১২৮ উল্লেখ রয়েছে। তাদের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ২৫ জন, স্নাতক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ২৮ জন এবং নন-এমপিওভুক্ত ১৩ জন বলা হয়। স্নাতক সম্মান শাখায় নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক ৬২ জন থাকার কথা বলা হলেও এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক নেই বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ আগস্ট কলেজটির সাবেক অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম অবসরে যান। এরপর ১২ আগস্ট থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন উপাধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান। নিয়োগ পেয়ে ১১ ডিসেম্বর থেকে তিনি কলেজটিতে অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তবে পরদিন ১২ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ হিসাবে তার নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে শিক্ষা অধিদপ্তর। অথচ কামরুজ্জামান অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধু কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য ওয়াহেদুন্নবী বলেন, গভর্নিং বডি শুরু থেকেই অধ্যক্ষের কাছে বিদ্যমান শিক্ষক ও কর্মচারীর নামের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে আসছেন। তবে তিনি তা দিচ্ছেন না। এর মধ্যে হঠাৎ হাজিরা খাতায় ১২ নতুন শিক্ষকের নাম দেখতে পান তারা। এ নিয়ে বাদ-প্রতিবাদের সময় শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সদস্য অভিযোগে আরও বলেন, অধ্যক্ষ খেয়াল-খুশিমতো কাজ করছেন। এসব তারই কারসাজি।

এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জানান, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত কলেজের কোনো কাগজপত্র তাকে বুঝিয়ে দেননি সাবেক অধ্যক্ষ। এ কারণে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর প্রকৃত সংখ্যা তার কাছে নেই। ৪ মার্চ থেকে শিক্ষক ও কর্মচারী হাজিরা খাতা পাওয়া যাচ্ছে না। হাজিরা খাতা উদ্ধার হলে শিক্ষক কর্মচারীর প্রকৃত সংখ্যা বলা যাবে। নতুন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।

সাবেক অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের ১১ আগস্ট আমি দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে আসি। ওই সময় পর্যন্ত কলেজটিতে নন-এমপিও ও এমপিওসহ মোট ১৩০ শিক্ষক ছিলেন। এমপিওভুক্ত কর্মচারী ছিলেন ১৫ জন। তাদের মধ্যে তিনজন তৃতীয় শ্রেণির এবং বাকিরা চতুর্থ শ্রেণির। সাবেক অধ্যক্ষ আরও বলেন, কলেজের হাজিরা খাতা হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। হাজিরা খাতা শুরু থেকেই আছে। হয়তো কোনো কারণে কেউ গায়েব করেছেন। গায়েব করার পেছনে কারও দুরভিসন্ধি আছে।

বঙ্গবন্ধু কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আরিফুল হক কুমার জানান, শিক্ষকদের হাজিরা খাতায় নতুন শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে কলেজে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। হাজিরা খাতা গায়েব হওয়ার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। নতুন ১২ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারী নিয়োগ দেখানোর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু কলেজ

জাতীয়করণের প্রাক্কালে নতুন ১৭ শিক্ষক কর্মচারীর নাম

 রাজশাহী ব্যুরো 
১৯ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু কলেজটি জাতীয়করণ প্রক্রিয়াধীন। এ সুযোগে অবৈধ উপায়ে হঠাৎ গোপনে ১২ শিক্ষক এবং পাঁচ কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাতীয়করণের জন্য ৪ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি দল কলেজ পরিদর্শনে এলে বিষয়টি সামনে আসে। তবে কলেজের অধ্যক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, কলেজের শিক্ষকদের হাজিরা খাতা হারিয়ে গেছে। কলেজে বর্তমানে ঠিক কতজন শিক্ষক ও কর্মচারী আছেন, সেটা তিনি হিসাব করে বলতে পারবেন।

কলেজের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, গত বছর ১২ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধু কলেজ জাতীয়করণে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে কলেজে সব ধরনের নিয়োগ, পদোন্নতি এবং স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদ হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে শিক্ষা অধিদপ্তর। ৪ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের একটি অডিট কমিটি কলেজ পরিদর্শনে যায়। এ সময় হঠাৎ করেই শিক্ষক ও কর্মচারীদের (নন-এমপিও) হাজিরা খাতায় অন্তত ১২ জন নতুন শিক্ষক ও পাঁচজন কর্মচারীর নাম লক্ষ করেন শিক্ষকরা। এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক আপত্তি তোলেন। এ সময় অধ্যক্ষপন্থি শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানসহ দুপক্ষের ৫ শিক্ষক আহত হন। তবে কোনো পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি।

প্রতিবাদকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, কলেজটি সরকারীকরণ প্রক্রিয়ায় থাকায় অধ্যক্ষ কয়েকজন শিক্ষকের সহযোগিতায় গায়েবি নিয়োগ দেখিয়ে নতুন ১২ শিক্ষকের নাম তুলেছেন হাজিরা খাতায়। অথচ তালিকায় থাকা শিক্ষকরা কখনো কলেজে আসেননি। তাদের কেউ চেনেনও না। নতুন ৫ কর্মচারীকেও তারা চেনেন না। অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির এসব কারসাজি। কলেজ জাতীয়করণের সময় এসব গায়েবি শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরিও সরকারীকরণ হবে। কাগজপত্রে সরকারীকরণ হলে পরে কোনো অভিযোগই আর গ্রহণযোগ্য হবে না।

কলেজটি জাতীয়করণসংক্রান্ত নথিপত্র যাচাই করে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা প্রশাসনকে কলেজের কার্যক্রমের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলে। গত বছর জুলাইয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা কলেজটি পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে কলেজটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৯১ জন উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ শিক্ষকের সংখ্যা ১২৮ উল্লেখ রয়েছে। তাদের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ২৫ জন, স্নাতক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ২৮ জন এবং নন-এমপিওভুক্ত ১৩ জন বলা হয়। স্নাতক সম্মান শাখায় নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক ৬২ জন থাকার কথা বলা হলেও এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক নেই বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ আগস্ট কলেজটির সাবেক অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম অবসরে যান। এরপর ১২ আগস্ট থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন উপাধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান। নিয়োগ পেয়ে ১১ ডিসেম্বর থেকে তিনি কলেজটিতে অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তবে পরদিন ১২ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ হিসাবে তার নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে শিক্ষা অধিদপ্তর। অথচ কামরুজ্জামান অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধু কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য ওয়াহেদুন্নবী বলেন, গভর্নিং বডি শুরু থেকেই অধ্যক্ষের কাছে বিদ্যমান শিক্ষক ও কর্মচারীর নামের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে আসছেন। তবে তিনি তা দিচ্ছেন না। এর মধ্যে হঠাৎ হাজিরা খাতায় ১২ নতুন শিক্ষকের নাম দেখতে পান তারা। এ নিয়ে বাদ-প্রতিবাদের সময় শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সদস্য অভিযোগে আরও বলেন, অধ্যক্ষ খেয়াল-খুশিমতো কাজ করছেন। এসব তারই কারসাজি।

এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জানান, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত কলেজের কোনো কাগজপত্র তাকে বুঝিয়ে দেননি সাবেক অধ্যক্ষ। এ কারণে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর প্রকৃত সংখ্যা তার কাছে নেই। ৪ মার্চ থেকে শিক্ষক ও কর্মচারী হাজিরা খাতা পাওয়া যাচ্ছে না। হাজিরা খাতা উদ্ধার হলে শিক্ষক কর্মচারীর প্রকৃত সংখ্যা বলা যাবে। নতুন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।

সাবেক অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের ১১ আগস্ট আমি দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে আসি। ওই সময় পর্যন্ত কলেজটিতে নন-এমপিও ও এমপিওসহ মোট ১৩০ শিক্ষক ছিলেন। এমপিওভুক্ত কর্মচারী ছিলেন ১৫ জন। তাদের মধ্যে তিনজন তৃতীয় শ্রেণির এবং বাকিরা চতুর্থ শ্রেণির। সাবেক অধ্যক্ষ আরও বলেন, কলেজের হাজিরা খাতা হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। হাজিরা খাতা শুরু থেকেই আছে। হয়তো কোনো কারণে কেউ গায়েব করেছেন। গায়েব করার পেছনে কারও দুরভিসন্ধি আছে।

বঙ্গবন্ধু কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আরিফুল হক কুমার জানান, শিক্ষকদের হাজিরা খাতায় নতুন শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে কলেজে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। হাজিরা খাতা গায়েব হওয়ার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। নতুন ১২ শিক্ষক ও ৫ কর্মচারী নিয়োগ দেখানোর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন