রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর
ফ্রিতে প্লট না দেওয়ায় ছাত্রলীগের ভাঙচুর
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজশাহীর লক্ষ্মীপুরে ফ্রিতে প্লট না দেওয়ার জেরে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। বুধবার রাতে নগরীর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) সংলগ্ন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওই বাড়ির মালিক নাহিন আমিন। তার বাড়ির পাশেই আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য ডেভেলপার হিসাবে জায়গা নিয়েছেন নাহিনের মামাতো ভাই জহুরুল ইসলাম রুবেল। রুবেলের দাবি, তার কাছে বিনামূল্যে একটি প্লট দাবি করে আসছিল সবুজ। না দেওয়ার কারণে নেতাকর্মীদের নিয়ে সবুজ জায়গা দখল করতে যান এবং পাশেই তার ফুপাতো ভাই নাহিনের বাড়িতে হামলা চালান। পাশে আরেক ফুপাতো ভাই ইবনে সিনা মিরুর দোকানে হামলার চেষ্টা চালানো হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাড়িতে থাকা একটি মোটরসাইকেল, সিঁড়ির রেলিং, দরজা এবং রান্নাঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। রুবেলের ব্যবসায়িক অংশীদার হিসাবে নাহিন ব্যবসা করেন বলেই তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বলে পুলিশ কাউকে ধরেনি। এ সময় পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রুবেলের লোকজন আমাদের কমিটির সহসভাপতিকে মারধর করেছে এমন খবর পেয়ে সেখানে উদ্ধার করতে যাই। নাহিনের বাড়িতে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা আমরা বলতে পারব না। ঘটনার সময় রুবেলই পিস্তল বের করে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন।’
জানতে চাইলে রুবেল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি পিস্তল পেলাম কোথায়? আর গুলি ছুড়লে শব্দ হবে না? কেউ কি গুলির শব্দ শুনেছে? এসব মিথ্যা কথা। সবুজ আমার কাছে একটি ফ্রি প্লট দাবি করছিলেন। সে ছাত্রলীগ করে, আমিও আওয়ামী লীগ করি। আমি কেন তাকে ফ্রি প্লট দিতে যাব? তাছাড়া হামলাকারীদের কাছেই নানারকম অস্ত্র ছিল। তারা আগ্নেয়াস্ত্রও এনেছিল। আহত একজনের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত আছি। চিকিৎসা শেষ করে মামলা করব।’ প্লট দাবি করার বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ বলেন, ‘এই বিষয়ে রুবেলের সঙ্গে আমার জীবনে কখনও কথাই হয়নি। এসব মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।’ হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে আটক না করার বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি শান্ত করেছি। কেউ অভিযোগ আনলে নেওয়া হবে। গোলাগুলির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ রকম কিছু দেখিনি।’
