কাউন্সিলর প্রার্থীদের যত প্রতিশ্রুতি
সাইদুর রহমান পান্থ, বরিশাল
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচন আগামী ১২ জুন। এখনো আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু না হলেও কৌশলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। মেয়র প্রার্থীদের মতো কাউন্সিলর প্রার্থীরাও দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তবে ভোটাররা বলছেন, তারা এবার প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সতর্ক। কারণ ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনেও প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বরিশাল হবে সিঙ্গাপুর। কিন্তু নাগরিক সেবাও ঠিকমতো পাননি তারা।
নির্বাচনকে ঘিরে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে মোড়ে মোড়ে ভোটার, সমর্থক ও প্রার্থীদের আলোচনায় মেতে থাকতে দেখা গেছে। ভোটাররা ভাবছেন-কাকে ভোট দিলে ওয়ার্ড বা সিটির প্রকৃত উন্নয়ন হবে। অন্যদিকে নিজেকে সৎ, আদর্শবান হিসাবে ফুটিয়ে তোলায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। তারা ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এবারই প্রথম কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন নগরীর আমির কুটির এলাকার বাসিন্দা মিসেস লিকা। তিনি ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি নগরবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, এই তিন ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। এই সমস্যা নিরসনে তিনি কাজ করবেন।
দুবার নির্বাচনে অংশ নিলেও অল্পের জন্য হেরে যাওয়া মাহমুদ আলম চঞ্চল ফের ১৫নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলছেন, বটতলা খাল ভরাট করার কারণে এই ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। তাই জয়ী হলে প্রথমেই এই ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবেন।
প্রথমবারের মতো ১৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ সাহিন (মোহন) ও জিয়াউল হক মাসুম। তারা জানান, সুবিধাবঞ্চিতদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবেন তারা। এছাড়া মাদক ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন।
১৬, ১৭ ও ১৮নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী গায়েত্রী সরকার পাখি বলেন, আমি গেল ৫ বছর এই ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নে কাজ করেছি। এবার নির্বাচিত হলে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূর করব।
নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা বলছেন, আমি সুনামের সঙ্গে ওয়ার্ডবাসীর সেবা ও সার্বিক উন্নয়ন করেছি। তবে আরও উন্নয়ন দরকার। আমি নির্বাচিত হলে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখব। একই ওয়ার্ডের নতুন প্রার্থী ছাত্র নেতা সৈয়দ আবিদ বলেন, এই ওয়ার্ডটি অনুন্নত একটি ওয়ার্ড। এখনো অনেক মানুষ সাঁকো ব্যবহার করে। আমি নির্বাচিত হলে এই ওয়ার্ডের উন্নয়ন ঘটাব।
নগরীর ১০, ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর আয়শা তৌহিদ লুনা বলেন, আমার অসমাপ্ত কাজগুলো করতে চাই। এজন্য আমাকে জনগণ রায় দেবেন। ১৫নং ওয়ার্ডের নতুন কাউন্সিলর প্রার্থী ছাত্র নেতা মাকছুদ আলম মাসুদ বলেন, আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে চাই। ১৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী রাজিব হোসেন খান বলেন, আমি কাজ করে যাচ্ছি ওয়ার্ডবাসীর জন্য। তাদের ইচ্ছাতেই ফের প্রার্থী হয়েছি। আমি জয়ী হলে শিশুদের উন্নয়নে বেশি কাজ করব।
