ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর
উপপরিচালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিধিবহির্ভূতভাবে দীর্ঘ ১২ বছর উপপরিচালকের দায়িত্ব পালন করা ঝিনাইদহের জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের (সদ্য অবসরকালীন ছুটিতে যাওয়া) সহকারী পরিচালক (সিসি) ডা. জাহিদ আহমেদের বিরুদ্ধে অবশেষে বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
১৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অধিদপ্তর ৩ মে এ চিঠির অনুলিপি পেয়েছে বলে অফিস সুপার মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কৈফিয়ৎ তলব করে খাম ও বিকাশে টাকা নিয়ে শাসন এবং শোষণ করে খান্ত হননি ডা. জাহিদ আহমেদ। প্রশাসনিক ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রেষণাদেশ তথা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংযুক্তি আদেশ দিয়েছেন। এমনকি বদলি প্রস্তাব সুপারিশ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্বারা হয়রানিমূলক বদলির ব্যবস্থা করেছেন এবং বদলি/সংযুক্তি আদেশের মাধ্যমে কৌশলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছেন। তিনি বিধিবহির্ভূতভাবে পিআরএল, আনুতোষিক ও অবসর ভাতা মঞ্জুর করতেন। তার অত্যাচারে নিহারবালা নামে একজন ডাক্তার চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন। টাকা বা উপঢৌকন ছাড়া কোনো কর্মচারীকে ট্রেনিংয়ে পাঠাতেন না। তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলেও মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে ডা. জাহিদের অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ এবং ক্ষমতার প্রভাব বিষয়ে বিভাগীয় মামলা রুজু করার জন্য নির্ধারিত ছকে তথ্য পাঠাতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অনুরোধ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্য মতে, ডা. জাহিদ আহমেদ ১৯৯০ সালের জানুয়ারি মাসে মেডিকেল অফিসার হিসাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা সেবাদান শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োগ পান। ২০১১ কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) উপজেলা থেকে মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ঝিনাইদহে সহকারী পরিচালক (সিসি) হিসাবে বদলি করা হয়। ওই বছরের ২৩ অক্টোবর তিনি যোগদান করেন। সেই থেকে অবসরকালীন ছুটিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত (২৩/১১/২২) তিনি কখনো উপপরিচালক আবার কখনো ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন।
দায়িত্বের অতিরিক্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে ডা. জাহিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বরাবরই সংলিষ্ট অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয় নীরব থেকেছে। অবশেষে বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ডা. জাহিদ আহমেদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠিয়ে তার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
