Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

একটি আমের ওজন ৫ কেজি!

Icon

ইন্দ জিৎ রায়, যশোর

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

একটি আমের ওজন ৫ কেজি!

বলা হয় ফলের রাজা আম। আর এ যেন আমের মহারাজা। নাম তার ‘ব্রুনাই কিং’। ব্রুনাইয়ের রাজপরিবারের আম রাজকীয় তো বটেই। সেই রাজকীয় আমের চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে। বিশাল আকৃতির আমের ফলন দেখে অনেকেই বিস্মিত। চাষ সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। কলম চারা উৎপাদন করে আগ্রহীদের মাঝে বিতরণ করা শুরু হবে শিগগিরই। পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও রয়েছে এই আমের, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, ব্রুনাইয়ের রাজার আমবাগানে কাজ করতেন মাগুরার এক যুবক। তিনি ২০১১ সালে সেই বাগানের আম গাছের দুটি ডাল দেশে নিয়ে আসেন। এরপর ওই যুবকের মামা মাগুরার নার্সারি মালিক আতিয়ার রহমান ফজলি আম গাছে কলম তৈরি করেন। এরপর আমের নামকরণ করা হয় ‘ব্রুনাই কিং’। চার বছর আগে মাগুরার শালিখার শতখালি গ্রামের ওই নার্সারি থেকে ব্রুনাই কিং আমের কলম চারা এনে যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে রোপণ করা হয়।

সেই গাছে গত বছর ফলন এসেছিল। এবারও গাছে ৩৫টির মতো আম এসেছে। বর্তমানে প্রতিটি আমের ওজন দুই কেজি থেকে সাড়ে তিন কেজি পর্যন্ত হয়েছে। তবে এই আম ৫ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়।

ব্যতিক্রমী এই আমের ফলন নজর কাড়ছে। অনেকেই গাছের চারা কিনতে আগ্রহী। হর্টিকালাচার সেন্টারে এই আমের কলম চারা তৈরি করা হচ্ছে। কয়েক মাস পরেই চারা সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

পাবনার সুজানগর থেকে আসা এসএম শাহ আলম বলেন, ব্রুনাই কিং আম আগে কখনো দেখিনি। যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে এসে প্রথম দেখলাম। অনেক বড় সাইজের আম ধরেছে। আমিও এই গাছ রোপণ করতে চাই।

বাগেরহাটের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, এ বছর সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা আমার শখ। যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে গাছের চারা কিনতে এসেছি। এখানে এসে ব্রুনাই কিং আম দেখে বিস্মিত হয়েছি। এত বড় আম আগে কখনো দেখিনি। এই গাছের চারা সংগ্রহ করতে চাই। কিন্তু এখনো কলমের চারা বিক্রি শুরু হয়নি।

হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মচারী মোহাম্মদ ওলিয়র রহমান বলেন, আম গাছটি রোপণের পর থেকে আমরা কৃষিবিদদের পরামর্শ মতো পরিচর্যা করছি। দুই বছর ধরে গাছে ফল ধরছে। আমটি দেখতে আকর্ষণীয় ও বড় আকারের হওয়ায় দর্শনার্থীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকে এই গাছের চারা সংগ্রহের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কলমের চারা তৈরি হচ্ছে। এখনো বিক্রি শুরু হয়নি।

যশোর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক দীপঙ্কর দাশ বলেন, চার বছর আগে এই সেন্টারে মাতৃগাছ হিসেবে ব্রুনাই কিং আমগাছ রোপণ করা হয়। দুই বছর হলো গাছে ফল ধরছে। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন বেশি হয়েছে। এখন পর্যন্ত একেকটি আমের সর্বোচ্চ ওজন তিন কেজির একটু বেশি। আম পাকবে জুলাই মাসের দিকে। ওজন আরও বাড়তে পারে। এই আম ৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, এই আমের ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। কলম চারা কয়েক মাস পর বিক্রি শুরু করতে পারব। প্রথমত শৌখিন চাষিদের মাঝে কলম চারা বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে ভালো সাড়া পেলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদে জোর দেওয়া হবে।

আম কেজি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম