ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন
গ্র্যাজুয়েটদের কর্ম উপযোগী করে গড়ে তোলার আহ্বান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা গ্র্যাজুয়েটদের কর্ম উপযোগী করে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে নতুন কিছু শিখব, নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করব সেই মানসিকতা থাকতে হবে। শেখার জন্য মাঠে নামতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের প্রয়োজনে সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে নিজেকে সমর্পণ করলে হবে না। সেটাকে ব্যবহার করে নিজের লক্ষ্য এগিয়ে যেতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সপ্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসাবে তিনি এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
এ সমাবর্তনে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ২০১৯ সালের ফল সেমিস্টার থেকে ২০২৩ সালের স্প্রিং সেমিস্টার পর্যন্ত গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা তিন হাজার ১০৯ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। চারটি অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ পাওয়া ১০ শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক পড়িয়ে দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আজ্জম। স্বাগত বক্তব্য দেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, শুধু বাংলা ভাষা জানলে হবে না, বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে কাজ করার মতো নিজেকে উপযোগী করতে ইংরেজি ভাষার উপরও দক্ষতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের গ্লোবাল প্ল্যাটফরমে ধীরে ধীরে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। আইসিটি উন্নয়নের কারণে ঘরে বসে অনেক সার্ভিস বিদেশে রপ্তানি করতে পারি। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ডিগ্রির চেয়েও কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
সমাবর্তন বক্তা অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, আজকের গ্র্যাজুয়েটরা আগামীদিনের প্রতিনিধিত্ব করবে। তাই ন্যায়, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে একটি আদর্শ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আজ্জম বলেন, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন বিভাগ খুলছে। মেধাবীদের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরেও সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন বলেন, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের কষ্টের ফল হচ্ছে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করা। একইসঙ্গে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। সমাপনী বক্তব্যে দেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার অধ্যাপক মো. শামসুল হুদা।
সমাবর্তনে স্বর্ণপদক পেয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল পেয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের আবদুল্লাহ আল আসিফ ও ব্যবসায় প্রশাসন (এমবিএ) বিভাগের ইসরাত জাহান সানা। চেয়ারম্যানস গোল্ড মেডেল পেয়েছেন-আইন বিভাগের মো. ওমর ফারুক, ইংরেজি বিভাগের নূর নাজলিমা জাহান ও এমবিএর মো. আমিনুল ইসলাম। চার অনুষদ থেকে স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত পাঁচজন পেয়েছেন ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল। তারা হলেন-ইংরেজি বিভাগের আলিফ আল রহমান, বিবিএর নাদিয়া হোসেন উষা, সিএসই’র আবু রায়হান ভূঁইয়া, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের মারুফা ফেরদৌসি ও আইন বিভাগের তানভীর মাহতাব।