Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

ভোলায় স্বাধীনতা জাদুঘর উদ্বোধনের অপেক্ষায়

এটি গবেষণাগার হিসেবে ব্যবহার হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

Icon

অমিতাভ অপু, ভোলা

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০১৮, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাঙালির ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর অবদানের দুর্লভ তথ্যচিত্র সংরক্ষণে ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে স্থাপিত স্বাধীনতা জাদুঘর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশের অন্যতম গবেষণাগার হিসেবে নির্মিত হয়েছে এটি। রাষ্ট্রপতির উদ্বোধনের পরপরই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানান জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনের ৮০ বছরের ইতিহাসের ধারাবাহিক দুর্লভ সংরক্ষণ রয়েছে এখানে। ভেতরের তিন তলায়ই রয়েছে এর বিন্যাস। এটি একদিকে যেমন গবেষণাগার, অপরদিকে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা অন্দোলন থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিকতা দেখতে ও জানতে পারবে নতুন প্রজন্ম। বাঙালির লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তার পরিকল্পনায় এর বিন্যাসে রয়েছেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুনসহ বেশ কয়েকজন গবেষক। তাদের নিরলস পরিশ্রমে জাদুঘরটি অন্যতম সংগ্রহশালায় পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত এর বিন্যাস কাজ চলছিল। মনোরম সাজে সাজানো হয়েছে চত্বর। বাংলাবাজারের বাণিজ্যমন্ত্রীর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত ফাতেমা খানম কমপ্লেক্সে ৩ বছর আগে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর স্বপ্নদ্রষ্টা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মহনায়ক বাণিজ্যমন্ত্রী যুগান্তরকে জানান, এমন একটি জাদুঘর নির্মাণের স্বপ্ন তার দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি ভাষণই জাতিকে আন্দোলিত করেছিল। যা আজ গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে।

জাদুঘর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব যুগান্তরকে জানান, এখানে তিনটি গ্যালারি রয়েছে। প্রথম তলার গ্যালারিতে এক পাশে ইতিহাস এতিহ্য, প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ’৪৭-এ দেশভাগ ও ভাষা আন্দোলনের দুর্লভ ছবি ও তথ্য রয়েছে। অপর পাশে রয়েছে লাইব্রেরি ও গবেষণাগার। এ ছাড়া ওই একই তলায় রয়েছে মাল্টিমিডিয়া ডিসপ্লে হলরুম। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত ইতিহাসের মুহূর্তগুলোর চিত্রকল্প। তৃতীয় তলায় রয়েছে যুক্তফন্ট, ’৫৮-এর আন্দোলন, পাকিস্তানের সামরিক শাসন, ’৬৬-এর আন্দোলন, ’৬৯-এর গণআন্দোলন, ’৭০-এর নির্বাচন, ৭ মার্চের ভাষণ, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের দুর্লভ আলোকচিত্র। এ ছাড়া রয়েছে বঙ্গবন্ধুর সব ভাষণের অডিও ও ভিডিও ডিজিটাল প্রদর্শনী। দর্শনার্থীরা ডিজিটাল টাচস্কিন ব্যবহার করে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ও তথ্য জানতে পারবেন। ভোলার বাংলাবাজার এলাকাটিও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বহন করে চলেছে। ১৯৭১ সালের ২৩ অক্টোবর এই বাংলাবাজারে তিনদিক থেকে পাকবাহিনী হামলা চালায়। তাই ওই এলাকায় স্থাপিত হয়েছে এমন জাদুঘর। এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল খালেক মিয়া, কলেজশিক্ষক মাকসুদুর রহমান, দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক মো. কামাল হোসেন এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ জাদুঘরটি বঙ্গুবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম