বেড়েছে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার
কমিউনিটি ক্লিনিক চলবে ট্রাস্টের অধীনে
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রকল্পের আওতায় মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে একটি ট্রাস্টের অধীনে আনা হচ্ছে। আর এসব ক্লিনিক পরিচালিত হবে সরকারি-বেসরকারি অর্থায়নের মাধ্যমে। এজন্য ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া গত এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার গত বছরের তুলনায় বেড়েছে বলে মন্ত্রিসভাকে জানানো হয়েছে। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এনএম জিয়াউল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন প্রসঙ্গে সচিব বলেন, নীতিগত অনুমোদনের জন্য আইনটি উপস্থাপন করা হলেও বিস্তারিত আলোচনার পর কিছু সংশোধন-সাপেক্ষে এটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সারা দেশেই কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবায় অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। সারা দেশে ১৪ হাজার ৮৯০টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্লিনিকগুলো থেকে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা ৬২ কোটি ৫৭ লাখ। একটি প্রকল্পের আওতায় ক্লিনিকগুলো চলছে। আইনটি হলে ক্লিনিকগুলো ট্রাস্টের আওতায় আসবে। জিয়াউল আলম বলেন, বর্তমানে দেশে ১৩ হাজার ৮৬১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। আরও এক হাজার ২৯টি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল আছে। কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইনের খসড়া করা হয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের পদমর্যাদা কী হবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, আইনে কর্মীদের স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতির সুযোগ, গ্রাচুইটি, অবসর ভাতা প্রদান এসব সুবিধা রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, একটি প্রবিধানের মাধ্যমে এগুলো নিশ্চিত করা হবে। তারা ট্রাস্টের আওতায় থাকবে। সরকারের যে সুবিধাগুলো আছে সেগুলো সবই তারা পাবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, ‘ট্রাস্টে একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী সভাপতি হবেন। এ ছাড়া একটি বোর্ড থাকবে। বোর্ডের প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত খ্যাতিমান ব্যক্তি। তিনি বোর্ডের সভাপতি হবেন। বোর্ড গঠনের বিবরণ আইনে রাখা হয়েছে। বোর্ডে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকও থাকবেন। তার পদমর্যাদা হবে সরকারের অতিরিক্ত সচিব বা সমমর্যাদার। বোর্ডের সদস্য সংখ্যা হবে ১৪ জন। বোর্ডের সঙ্গে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যোগোযোগ থাকবে এবং মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার বেড়েছে : চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসে মন্ত্রিসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার গত বছরের এই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ২০১৮ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (এপ্রিল থেকে জুন) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এনএম জিয়াউল আলম জানান, গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত নয়টি মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৮৪টি সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ৬৩টির, ২১টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৭৫ শতাংশ।
ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন : মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জিয়াউল আলম জানান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ওয়ান ডে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। আরও জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও খুলনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রথম মন্ত্রী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি কল্প রঞ্জন চাকমার মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদ শোক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
