Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

উপজেলা নির্বাচনের তফসিল

ভোট গ্রহণ হোক সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক

Icon

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উপজেলা নির্বাচনের তফসিল

ফাইল ছবি

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১০ মার্চ ৮৭টি উপজেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১১ ফেব্রুয়ারি, যাচাই-বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয় বলে রাজনৈতিক দলগুলো এতে অংশ নিয়ে থাকে। এ নির্বাচনে চেয়ারমান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ভোট গ্রহণ হবে। এবার মোট পাঁচ ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব।

উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠার পর এবার পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ তথা সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে।

উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উল্লেখ্য, পরিষদের প্রথম বৈঠক থেকে মেয়াদ শুরু হয়। এ হিসাবে আগামী মার্চই হচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উপযুক্ত সময়। উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে।

তবে বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। হতে পারে সংসদ নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের অংশ না নেয়ার কারণ। ওই নির্বাচনের ধকলও দলটি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি হয়তো।

এটা ঠিক, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রশ্নে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের অসন্তোষ রয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব মনে করছে না নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তারা এই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আইনি লড়াই করবে বলেও জানা গেছে। তা সত্ত্বেও আমরা মনে করি, ঐক্যফ্রন্টের উচিত হবে এ নির্বাচনে অংশ নেয়া।

সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে ঐক্যফ্রন্টের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনেকে হতাশ হয়েছেন। তাদের এই হতাশা কাটানো এবং দলগুলোকে সুসংগঠিত করার প্রশ্নে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়াই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা দেড় শতাধিক উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছিলেন।

উপজেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার। বস্তুত গ্রামীণ জনপদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের প্রশ্নে উপজেলা পরিষদই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়াটাই কাম্য। ইসি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কথা হচ্ছে, এই প্রস্তুতিই শেষ কথা নয়।

রাজনৈতিক দলগুলোকে এ নির্বাচনের প্রশ্নে আস্থায় নিয়ে আসাটাই মূল কথা। সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ইসির বিরুদ্ধে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। শুধু বিরোধী দল নয়, বস্তুত দেশবাসীর একটি বড় অংশও মনে করছে, নির্বাচন যেভাবে হওয়া উচিত ছিল সেভাবে হয়নি।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, সে ব্যাপারে তাদের সন্দিহান হওয়াটাই স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে ইসির দায়িত্ব হবে নির্বাচনের আগে এমন কিছু পদক্ষেপ নেয়া, যাতে করে ঐক্যফ্রন্টসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। ইসির জন্য এ নির্বাচনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ বটে।

নির্বাচন তফসিল

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম