|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকে ভুল তথ্য ছাপা হবে, এরপর তা সংশোধনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এটা যেন এক স্বাভাবিক নিয়মেই পরিণত হতে যাচ্ছে! এত আলোচনার পরও পাঠ্যবইয়ে ভুল ও অসংগতি দূর না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। এবারের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন পাঠ্যবইয়ের ভুল ও অসংগতি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছে। জানা যায়, এনসিটিবি প্রবর্তিত ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে সব মিলিয়ে পৌনে ৭০০ ভুল ধরা পড়েছে। এনসিটিবি চিহ্নিত এসব ভুল গত শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে ইতোমধ্যে সারা দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হয়েছে। চিহ্নিত ভুলগুলো বিবেচনায় নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করেছে কর্তৃপক্ষ। চিহ্নিত ভুলগুলো এনসিটিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা যায়, মোট চারটি পিডিএফ ফোল্ডারে সংশোধনীগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি পাঠ্যবইয়ের আলাদা সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। কোন পৃষ্ঠার কোন লাইনে বা প্যারায় ভুলগুলো আছে, কী ভুল হয়েছে এবং সঠিক কী হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি করণীয় সম্পর্কেও মন্তব্য রয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে আশা করা যায়, সারা দেশের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আলোচ্য সংশোধনী থেকে সময়মতো সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে। তবে কাজটি যে কঠিন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ইতোমধ্যে শিক্ষাবর্ষের চার মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। এ সংশোধনী আরও আগে প্রকাশ করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিড়ম্বনায় পড়তে হতো না। আমাদের ধারণা, এনসিটিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আলোচিত সংশোধনীগুলো সংগ্রহ করে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে গিয়ে বহু শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষের উচিত আলোচিত সংশোধনীগুলো পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের হাতে তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সরকার বছরের শুরুতে বিনামূল্যে বই বিতরণের কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। টানা দীর্ঘ সময় বিনামূল্যে পাঠ্যবই প্রদানের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এই কঠিন পথ পাড়ি দিতে সক্ষম হলেও মানসম্মত ও নির্ভুল পাঠ্যবই প্রণয়নের কাজটি কেন সফলভাবে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না? অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও সঠিক তদারকির অভাবে পাঠ্যপুস্তক থেকে ভুল ও অসংগতি দূর হচ্ছে না। এসব ভুল ও অসংগতির জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
