Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

কক্সবাজারে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করতে হবে

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কক্সবাজারে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে অপহরণের শিকার হচ্ছেন অনেকে। এতে এলাকাজুড়ে বাড়ছে অপহরণ আতঙ্ক। সম্প্রতি কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যাওয়ার পথে অপহৃত তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গতকাল যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বুধবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব ও পুলিশের দুটি টিম। জানা গেছে, মুক্তিপণ দিতে না পারায় তাদের হত্যা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফে পাত্রী দেখতে যাওয়ার সময় পথে তাদের অপহরণ করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এর আগে গত মার্চ মাসে টেকনাফের জাহাজপুরা পাহাড়ে অপহৃত হন সাতজন।

তাদের উদ্ধারে পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নামলেও অপহৃতদের মুক্তিপণ দিয়েই ফিরতে হয়েছে। এভাবে অনেকেই অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দিয়ে প্রাণ নিয়ে ফিরেছেন। অবশ্য নিয়মিত অভিযানে বেশ কয়েকজন অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এ অঞ্চলে শুধু অপহরণই নয়; অস্ত্র, মাদক চোরাচালান থেকে শুরু করে নানা ধরনের অতৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে।

সব মিলে সেখানে একধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এসব ঘটনায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় আশ্রয়ে থাকা কেউ কেউ জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ স্থানীয়দের অভিযোগ।

আমরা জেনেছি-ইয়াবা, মানব পাচার ও হাটবাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা রয়েছে। অস্ত্র-মাদক ব্যবসা তো আছেই, খুন ও অপহরণের মতো ঘটনাও সেখানে প্রায়ই ঘটে থাকে। ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প ও ভাসানচরে অবস্থান করছে। তাদের একটি অংশ এ অঞ্চলে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয়রা।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ সরকার বরাবরই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ছয় বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। এ পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের অপতৎপতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আরও জোরদার করা উচিত বলে মনে করি আমরা।

কক্সবাজার

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম