Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

খেলাপি ঋণ আদায়ে মামলা: দ্রুত নিষ্পত্তির পদক্ষেপ নিন

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

খেলাপি ঋণ আদায়ে মামলা: দ্রুত নিষ্পত্তির পদক্ষেপ নিন

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অর্থঋণ আদালতে বর্তমানে সাড়ে ৭২ হাজার খেলাপি ঋণের মামলা ঝুলে রয়েছে; আর এতে আটকে আছে পৌনে ২ লাখ কোটি টাকা। এছাড়া দেউলিয়া আদালতে ঝুলে আছে ১৭২টি মামলা, যেখানে আটকে আছে ৪২৪ কোটি টাকা। এসব আদালতে ঝুলে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি চলছে বছরের পর বছর ধরে। ফলে একদিকে যেমন ঋণ আদায়ে কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না, তেমনি খেলাপির সংখ্যা আরও বড় হচ্ছে।

এদিকে বছরের পর বছর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ব্যাংকের টাকা আটকে থাকছে। এতে কমে যাচ্ছে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের সক্ষমতা। ফলে অনেক ব্যাংক ভুগছে তারল্য সংকটে। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে পড়ছে এর নেতিবাচক প্রভাব। এ বাস্তবতায় খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করি আমরা।

আমরা জানি, ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত। অনেক সময় ঋণ দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয়। এসব ঋণ আদায় না হওয়ায় একসময় তা কুঋণে পরিণত হয়। ব্যাংকগুলো যখন বুঝতে পারে, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আর এসব ঋণ আদায় করা যাবে না, তখন চূড়ান্ত ব্যবস্থা হিসাবে তারা মামলায় যায়। আবার অর্থঋণ আদালতে কোনো মামলায় ব্যাংক বিজয়ী হলেও সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য আরেকটি মামলা করতে হয়। ব্যাংক তার পক্ষে আদেশ পাওয়ার পর যখন সেটা কার্যকর করার বা টাকা আদায়ের চেষ্টা করে, তখন অনেকে উচ্চ আদালতে গিয়ে ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিট করেন। ফলে সেসব আদেশের বাস্তবায়নও দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে পড়ে যায়।

অর্থঋণ আদালতে মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরে চলার প্রধান কারণ বিচারক এবং আদালতের লোকবল সংকট। ফলে মামলা হলেও সেখানে কোনো গতি থাকে না। বিচারক না থাকায় ঠিকমতো শুনানি হয় না। অনেক সময় বিবাদী পলাতক থাকে, হয়তো দেশের বাইরে থাকে। তখন মামলাগুলো ঝুলে যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা জরুরি। আদালতে লোকবল সংকট দূর করেই হোক অথবা অন্য কোনো উপায়ে, মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ার পেছনে ব্যাংক ও গ্রাহকের জোগসাজশ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে হবে।

 

মামলা ঋণ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম