Logo
Logo
×

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

লক্ষ্মীপুর-২: বিএনপিকে ছাড় দিতে চায় না জামায়াত

Icon

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

লক্ষ্মীপুর-২: বিএনপিকে ছাড় দিতে চায় না জামায়াত

ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর, সদরের একাংশ) আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে ছাড় দিতে রাজি নয় জামায়াত।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দুই দলের মাঝে প্রকাশ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক চলছে। বর্তমানে নির্বাচনমুখী দুই দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও বিভক্ত।

কয়েক দিন আগে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করায় এককভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে লড়তে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জেলা জামায়াতের আমীর। তবে বিএনপি বলছে, আসনটি বিএনপির কাছে চাওয়ার যুক্তি নেই জামায়াতের।

মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জেলা জামায়াতের আমীর এসইউএম রুহুল আমিন ভূঁইয়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। সদর মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে, রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩টি মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করে বিজয়ী হন। পরে দুবারই তিনি উপনির্বাচনে আসনটি ছেড়ে দেন। এতে ’৯৬ সালে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে হারিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ জয়ী হন।

২০০১ সালে হারুনুর রশিদকে হারিয়ে বিএনপির আবুল খায়ের ভূঁইয়া জয়ী হন। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনেও দলের টিকিটে সংসদ সদস্য হন খায়ের।

সবশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটগত কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাপার মো. নোমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে বুধবার পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি হারুনুর রশিদ, খালেদা জিয়ার সাবেক প্রধান নিরাপত্তা সমন্বয়কারী লে. কর্নেল (অব.) এম এ মজিদ, সদর উপজেলা (পশ্চিম) বিএনপির একাংশের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম হিরু চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া টিটু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মঞ্জুর এলাহী ও শাহেনা আক্তার নিলু।

তবে বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ আসনে আবুল খায়েরের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। জামায়াত নেতাদের ভাষ্যমতে, এ আসনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। অনেকে কারাগারে ছিল।

জেলা আমীরও ৩৮ দিন কারাগারে ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা তাদের পাশে দাঁড়াননি। এতে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ। রায়পুর পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি ফজলুল করিম বলেন, আমরা কেন্দ্রের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

রায়পুর উপজেলা বিএনপির সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, জোটগত ইস্যুতে জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।

লক্ষ্মীপুর নির্বাচন প্রচারণা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম