ভোলা-৪: জ্যাকবে আস্থা তৃণমূল আ’লীগের
কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষায় বিএনপি
আবদুল্লাহ জুয়েল, মনপুরা ও শিপু ফরাজী, চরফ্যাশন
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভোলার দক্ষিণে চরফ্যাশন উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) সংসদীয় আসন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ছাড়াও জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাইর) ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এবারের দুই উপজেলার তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাদের সিদ্ধান্তে এই আসনের একক প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
এছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের তিনজন মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা গেলেও দুই উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চিনে না মনোনয়ন প্রত্যাশীদের।
তারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আ.ক.ম জামাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা মফিজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আবু শাকের তানিন খান।
বিএনপির একক প্রার্থী সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম। তবে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নয়ন। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অপেক্ষায় রয়েছে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার।
দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার নির্বাচন করবে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে, জাতীয় পার্টি মনোনয়ন প্রত্যাশী, ভোলা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কেফায়েত উল্লা নজিব ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. মিজানুর রহমান।
এদিকে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে না করলেও গোপনে সাড়ছেন কার্যক্রম।
আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী উপমন্ত্রী জ্যাকব, দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সভা, সমাবেশ, পথসভাসহ নির্বাচন কমিটি গঠন করে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছেন। তবে বসে নেই বিএনপি।
তারাও গোপনে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। মামলা-হামলার ভয়ে প্রকাশ্যে রূপ না নিলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অপেক্ষা রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি।
চরফ্যাশন উপজেলার আওয়ামী লীগের সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভিপি জানান, আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবই এই আসনের একক প্রার্থী। এই আসনে তার বিকল্প নেই।
এই অঞ্চলে তিনি যেই উন্নয়ন করেছেন আর কেউ কখনও এতো উন্নয়ন করতে পারবে না। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ব্যাপক ভোটে নির্বাচিত হবে।
মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক, একেএম শাহজাহান মিয়া জানান, উপমন্ত্রী জ্যাকব শুধু আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী নয়, তিনি চরফ্যাশন-মনপুরার সাধারণ জনগণের প্রার্থী। তিনি গত দশ বছরের
যে উন্নয়ন করেছেন স্বাধীনতার পর এ অঞ্চলে এত উন্নয়ন হয়নি। তাই আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জ্যাকব ভাইকে আবারও সংসদে পাঠাবে।
আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ও উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, দিন-রাত পরিশ্রম করে চরফ্যাশন-মনপুরা উন্নয়ন করেছি। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় আদালত হচ্ছে মানুষের বিবেক। আমার উন্নয়ন বিবেচনা করে আগামী নির্বাচনে মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবে।
এদিকে, সুষ্ঠু ভোট হলে আগামী নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষের জয় হবে আশাবাদ প্রকাশ করে চরফ্যাশন উপজেলার বিএনপির সম্পাদক মোতাহের হোসেন আলমগীর মালতিয়া জানান, চরফ্যাশন-মনপুরায় বিএনপির একক প্রার্থী সাবেক এমপি নাজিমউদ্দিন আলম। তার নির্দেশনায় বিএনপি ভোটের লড়াই প্রস্তুত।
মনপুরা উপজেলা বিএনপির সম্পাদক অধ্যক্ষ এম মহিউদ্দিন জানান, মনপুরা বিএনপি নাজিমউদ্দিন আলমের ওপর আস্থাশীল। তার নেতৃত্বে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সাবেক এমপি নাজিমউদ্দিন আলম জানান, এই আসনে আমি তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। আগামী নির্বাচনে এই অঞ্চলের মানুষ ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবে।
এদিকে বিএনপির অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী নুরুল ইসলাম নয়ন জানান, এই আসনের বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে আমিই পছন্দের প্রার্থী। তবে দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি রয়েছে।
এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামী আইনজীবী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহিবুল্লাহ ইসলামী আন্দোলনের একক প্রার্থী বলে জানান মনপুরা উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি এনায়েত উল্লা।
