|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফুটবল-জ্বরে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। এবারের বিশ্বকাপের আয়োজক রাশিয়ায় একটু উন্মাদনা বেশি। পর্যটক আকর্ষণেও ব্যস্ত দেশটি। মস্কো এমনিতেই হাজার বছরের ইতিহাস বহন করছে। এর মধ্যে চলছে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপেরও রয়েছে আলাদা ও লম্বা ইতিহাস। ফুটবলভক্তদের জন্য ফিফাও এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে। দেশটিতে নির্মাণ করেছে ফুটবল জাদুঘর। রাজধানী মস্কোর হুন্দাই মোটরস্টুডিওতে ৮ জুন জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে এক ছাদের তলায় রয়েছে পুরো বিশ্বকাপের ইতিহাস।
ফুটবলের কিংবদন্তিরা আছেন, আরও আছে স্থিরচিত্র, ভিডিওচিত্র, চলতি আসরের ৩২ দলের জার্সিসহ কত কী! রাখা হয়েছে ঐতিহাসিক জার্সি, ক্যামেরা ও ট্রফি। প্রবেশপথে রয়েছে রাশিয়ার ফুটবল কিংবদন্তি গোলরক্ষক লেভ ইয়াসিনের মূর্তি। ভেতরে দেয়ালে ঝুলছে ২১ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল পোস্টার। ফুটবলের মতোই গোলাকৃতির এক প্রজেক্টরে বিশ্বকাপের ইতিহাসের ভিডিও দেখানো হচ্ছে অবিরাম। সাদা-কালো থেকে টুর্নামেন্টের রঙিন সময়ে বিবর্তনের ধারা সেখানে ফুটে উঠেছে।
জাদুঘরটি সাল অনুযায়ী সাজানো-গোছানো নয়। কিন্তু পরিপাটি কক্ষে বুট, জার্সি ও পতাকা রাখা। অবশ্য প্রত্যেকটির নিচেই বিবরণ রয়েছে। কোন সাল, কোথায় আর জার্সির পেছনে নম্বর ও নাম তো রয়েছেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বলের বিবর্তনও হয়েছে। ১৯৩০ থেকে শুরু করে ২১ বিশ্বকাপের বল দেখলে তা বোঝা যায়। জাদুঘরের দেয়ালের গায়ে তারকারাশির মতো আলো ছড়াচ্ছে সেই বলগুলো। সেখানে গেলে ইতিহাসে হারিয়ে যাবেন আপনি। ডুব দিয়ে খুঁজে পাবেন পুরনো বিশ্বকাপের স্মৃতিগুলো। প্রথম বিশ্বকাপে ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে যে বল নিয়ে ফাইনালে খেলতে নেমেছিল সেটাও জাদুঘরটিতে রয়েছে। ওই বলের নাম টেলেস্টার। রয়েছে ম্যারাডোনা, ইউসেবিও, ক্রুইফ, ব্যাজিও, জিদান, রোনালদোর জার্সি। এছাড়া কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের স্বাক্ষর সংবলিত স্মারকও রয়েছে।
এছাড়া এবারের বিশ্বকাপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিসও সেখানে স্থান পাচ্ছে। ২০১৮ বিশ্বকাপের রাশিয়া-সৌদি আরব উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যবহৃত ‘টেলস্টার ১৮’ রাখা হয়েছে জাদুঘরটিতে। স্বাগতিকদের জন্য এটি সৌদির বিরুদ্ধে ৫-০ ব্যবধানের জয়েরই ঘোষণা দিচ্ছে। চলতি আসরের ৬৪ ম্যাচের ফলের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে জায়গা। শূন্যস্থানগুলো ভরে উঠছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। রাশিয়ায় ফিফার এ জাদুঘরটি পর্যটকদের বেশ আকর্ষণ করছে।
সালমান রিয়াজ
