Logo
Logo
×

ঘরে বাইরে

বেড়েছে করোনা সংক্রমণ : সচেতনতা জরুরি

Icon

আঞ্জুমান আরা

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সারা দেশে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য ঢাকাসহ সারা দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই প্রতিদিন ছয় হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গত শুক্রবার একদিনে শনাক্তের সংখ্যা ছিল সাত হাজারের কাছাকাছি। তাই সারা দেশে আবারও লকডাউন দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জারি করা হয়েছে ১১টি বিধিনিষেধ।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হন। এরপর ব্যাপকভাবে করোনা বৃদ্ধি পায় সারা দেশে। তবে আগস্টের শেষের দিক থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমতে থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রতি উদাসীনতা দেখা দেয়। ইচ্ছামতো সামাজিক অনুষ্ঠান, উৎসব উদযাপন, ভ্রমণ করতে দেখা যায় অনেককে। যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। ফলস্বরূপ দ্রুত করোনা পরিস্থিতি আবার অবনতি হতে শুরু করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে দৈনিক করোনা শনাক্তের হার দুই দশমিক ২৬ থেকে তিন দশমিক ৩০ শতাংশের মধ্যে অবস্থান করে। মার্চ মাসে শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। যা ক্রমেই প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। তাই এখন আর উদাসীনতার সুযোগ নেই। এখন আমাদের প্রত্যেককেই যেমন কঠোরভাবে মানতে হবে লকডাউন তেমনি মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। এক্ষেত্রে মেনে চলুন কিছু সাধারণ সতর্কতা-

লকডাউন মেনে চলুন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যেতে চেষ্টা করুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। বাইরে যাওয়ার আগে হাতে জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন এবং ঘরে ফিরে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন;

নিত্যপণ্য কেনার পর ব্যাগের বাইরের অংশে জীবাণুনাশক স্প্রে করুন। অনলাইন থেকে পণ্য অর্ডার করলে পণ্য হাতে পেয়েই চেষ্টা করুন পণ্যের প্যাকেট খুলে ফেলে দিতে। ফেলা সম্ভব না হলে প্যাকেটটি ভালোমতো সাবান পানি দিয়ে মুছে নিন। আর পণ্যটি যদি ধোয়া সম্ভব হয় তাহলে ধুয়ে ব্যবহার করুন। তবে শাকসবজি বা মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে কখনোই সরাসরি জীবাণুনাশক স্প্রে বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না। এসব পণ্য স্বাভাবিক পানি দিয়ে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে বেকিং সোডা মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন;

বাইরে থেকে আসা ব্যাগ থেকে জিনিসপত্র বের করার পর হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন;

ছোট বাচ্চাদের বারবার হাত ধুয়ে দিতে হবে। যেসব বাচ্চারা হামাগুড়ি দেয়, যাদের আঙুল মুখে দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে, তাদের প্রতি বাবা-মায়েদের আরও সতর্ক হতে হবে;

করোনাকালে এমনিতেই ঘরবাড়ি জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। আর ঘরে যদি শিশু ও বয়স্ক সদস্য থাকে তবে ঘরবাড়ি জীবাণুমুক্ত রাখার ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ির মেঝে, দরজার হাতল, টেবিল, সুইস ইত্যাদি জীবাণুনাশক দিয়ে দিনে কমপক্ষে দুইবার পরিষ্কার করুন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম